Hooghly Awas: বাইরে কোটি টাকার ‘প্রাসাদ’, ভিতরে ‘লুকিয়ে’ আবাস যোজনার বাড়ি! হুগলিতে নয়া বিতর্ক
Hooghly Awas: শেষ কিস্তির টাকা না পেলেও বাকি টাকা দিয়ে তার দাদার আর্থিক সহযোগিতায় বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন বলে জানান তিনি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয়দের।
হুগলি: কোটি টাকার বাড়ির ভেতর আবাস যোজনার ঘর, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল ডানকুনিতে। ডানকুনি পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে যাঁরা প্রকৃত যোগ্য, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। এলাকায় বিত্তশালী বলে পরিচিত পরিবারের সদস্যরা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পান পল্লব ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। তিনি এলাকায় যথেষ্ট বিত্তশালী হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে প্রায় কোটি টাকার বাড়ি রয়েছে তাঁর। তবে অভিযোগ, সেই বাড়ির ভিতরেই রয়েছে আবাস যোজনার ঘর। তবে ওই প্রকল্পের শেষ কিস্তির টাকা পাননি পল্লব ঘোষ। তাঁর দাবি, দাদার আর্থিক সহযোগিতায় বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এই ইস্যুকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কচকচানি। তৃণমূলকেই নিশানা করেছে বিজেপি। ডানকুনি পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডেই এই কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ, তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন, অথচ সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিজেপির।
পল্লব ঘোষ বিত্তশালী, তিনি কীভাবে বাড়ি পেয়েছিলেন? তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পীযূষকান্তি পানের বক্তব্য, “সেই সময় পল্লব ঘোষের বাড়ি ভগ্নপ্রায় ছিল। পৌরসভায় আবেদন করার পর বাড়ি পান। বর্তমানে দাদার সঙ্গে যৌথভাবে বাড়ি তৈরি করেছেন পল্লব ঘোষ।” তবে যোগ্য ব্যক্তিরা বার বার আবেদন করেও বাড়ি পাননি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলরের দাবি, “অনেক গরিব মানুষই ২৫ হাজার টাকা জমা দিতে পারছেন না। আবার অনেকে জমির কাগজে জটিলতাও রয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন না।”
অন্যদিকে, বাড়ি প্রাপকের বক্তব্য, “আবাসের বাড়ি ভিতরে রয়েছে। তার বাইরে বাড়ি করেছি। এসব করা যায় কিনা, আমি জানি না।” পল্লবের দাদার বক্তব্য, “এটা আসলে আমারই বাড়ি। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছি। ভাইয়ের করার ক্ষমতা নেই। ওর হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে একবার। তার জন্য আমার ক্ষমতা অনুযায়ী ভাইকে সাহায্য করেছি।” যদিও বাড়িটি নিয়ে এখন রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে।