গদা হাতে পরিবেশ শিক্ষা ‘যমরাজ’-এর! পরিবেশ দিবসে সচেতনতার বার্তা
শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। করোনা মহামারিও চোখ রাঙাচ্ছে। এই অবস্থায়, চন্দননগর ব্রতচারী অঙ্গন, সবুজের অভিযান-সহ কয়েকটি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থা চন্দননগর স্টান্ড এলাকায় পথ চলতি মানুষকে সচেতন করল।
হুগলি: চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে গদা হাতে হাজির স্বয়ং যমরাজ! না, কাউকে যমলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। বরং এই করোনা মহামারী কালে কাউকে যাতে যমলোকে যেতে না হয় তাই নিয়ে সচেতন করতে এলেন তিনি। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এমনই অভিনব ছবি ধরা পড়ল চন্দননগর স্ট্রান্ডে। মাস্ক না পরা মানুষদের গদা উচিয়ে, চোখ রাঙিয়ে ভয় দেখালেন তিনি। পাশাপাশি নিজের হাতে মাস্ক তুলে দিলেন ‘যমরাজ’। পরিবেশ কে বাঁচাতে গাছও পুঁতলেন তিনি।
শনিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। করোনা মহামারিও চোখ রাঙাচ্ছে। এই অবস্থায়, চন্দননগর ব্রতচারী অঙ্গন, সবুজের অভিযান-সহ কয়েকটি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থা চন্দননগর স্টান্ড এলাকায় পথ চলতি মানুষকে সচেতন করল। তাদের হাতে মাস্ক তুলে দেয়, বেশ কিছু চারাগাছ রোপন করে। এই অনুষ্ঠানে গদা হাতে যমরাজের উপস্থিতি ও রণপায়ে ভর করে হাঁটা ব্রতচারী শিল্পীরা পথ চলতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র এবং মানুষের যৌথ উদ্যোগ কেবল মাত্র পরিবেশ দিবসকে স্বার্থক করতে পারে। এটা একটা দিনের কাজ নয় সারা বছর করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেভাবে হারিয়ে গেছে তাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। প্রকৃতির মধ্যে বেঁচে থাকার রসদের আমরা কোনও হিসাব করিনা এটা দুভার্গ্য। সেই রসদের এবার হিসাব করতে হবে, বলেন পরিবেশবিদ।
আর যমরূপী শঙ্কর পাল বলেন, “ব্রতচারী অঙ্গনের ডাকে চন্দননগরে এলাম। এসে দেখালাম করোনা অতিমারিতে মানুষের কি অবস্থা! আর ভালো লাগছে না। কিন্তু মানুষকে বাঁচতে হবে। আগে নিজেকে বাঁচাতে হবে। তারপর পরিবেশকে। এই সময় অক্সিজেনের বড় প্রয়োজন। পাড়ায় পাড়ায় গাছ লাগান।”
পাশাপাশি, গাছ মেলার আয়োজন করেছে আর এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আটচালা গ্রুপ। এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ সঞ্জীত ব্যানার্জী। এছাড়া তিনি একটি স্কুলে বৃক্ষরোপন করেন। এই অনুষ্ঠান থেকে মোট ২০০জন কে চারা গাছ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ করোনামুক্ত বাংলার এই জায়গা, নেই কোনও আক্রান্ত!
আটচালা গ্রুপের সদস্য প্রীতম মুখার্জী বলেন, “বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গাছ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেককে বিনামূল্যে গাছ দেওয়া হচ্ছে। তবে যাদের গাছ দেওয়া হচ্ছে তাদের নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর নিয়ে রাখা হচ্ছে। দু’মাস পরে তাদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, গাছের কেমন পরিচর্চা করেছেন। যার গাছ সব থেকে ভাল পরিচর্চা করা থাকবে, সেই মত প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয়দের পুরস্কৃত করা হবে।”