Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

WB Panchayat Election: তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্দলদের দখলে! সিঙ্গুরে ফের প্রকাশ্যে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

TMC party office: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই পার্টি অফিসের দখল নেই তৃণমূলের হাতে। নির্দলরা দখল করেছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। এই ছবি ধরা পড়ল হুগলি জেলার সিঙ্গুরের বেরাবের অঞ্চলে। শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।

WB Panchayat Election: তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্দলদের দখলে! সিঙ্গুরে ফের প্রকাশ্যে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
তৃমমূলের পার্টি অফিস নির্দলদের দখলে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2023 | 7:10 AM

সিঙ্গুর: সজ্জা দেখেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। ভিতরে ও বাইরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই পার্টি অফিসের দখল নেই তৃণমূলের হাতে। নির্দলরা দখল করেছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। এই ছবি ধরা পড়ল হুগলি জেলার সিঙ্গুরের বেরাবের অঞ্চলে। শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। পার্টি অফিস দখল করা নির্দলরা সাফ জানাচ্ছেন, এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মুখ নেই এই অফিসে আসার। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

বেরাবেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দশ বছরের প্রধান, পাঁচ বছরের উপ প্রধান দীপঙ্কর ঘোষকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তাই নির্দলে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ। ভোট গণনার দিন গণনা কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাই এর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। দীপঙ্করের অভিযোগ, তিনি ৪৬ ভোটে জিতছিলেন। কিন্তু সে সময় হঠাৎ তৃণমূল প্রার্থী বেশ কিছু ব্যালট ছিনিয়ে নেন। এরপর আর গণনা হয়নি। রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতে বেরাবেরি ১৩ নম্বর বুথে ভোট বাতিল করা হয়। নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় রাজ্যে মোট ২০টি বুথে আবার ভোট হবে। তার মধ্যে রয়েছে সিঙ্গুরের বেরাবেরি অঞ্চলের এই বুথ। নির্দল প্রার্থী দীপঙ্কর ঘোষ ইতিমধ্যে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। পুনরায় ভোটের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। দীপঙ্কর ও তাঁর অনুগামীরাই তৃণমূলের অফিসকে নির্দলের অফিসে পরিনত করেছেন।

এ বিষয়ে দীপঙ্কর ঘোষ বলছেন, “এই দোতলা অফিস তিনি আমি করেছিলাম। এখানে সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না বা অন্য কারও সাহায্য নেই।” সে কথা স্বীকার করেছেন সিঙ্গুরের আরেক তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধারা। তাঁকেও এবার মনোনয়ন দেয়নি ঘাসফুল শিবির। দুধকুমার বলেন, “যাঁরা তৃণমূল করছে, তাঁদের ওই অফিসে যাওয়ার মুখ নেই। কারণ তৃণমূলের যিনি প্রার্থী ছিলেন তিনি ব্যালট ছিনতাই এর মতো জঘন্য কাজ করেছেন। বেরাবেরির অঞ্চলে যাঁরা পুরনো তৃণমূল কর্মী তাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তাই অনেকেই বসে গিয়েছেন।”

যদিও সিঙ্গুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, “এটা নির্দলের পার্টি অফিস নয়। তৃণমূলেরই পার্টি অফিস। দীপঙ্করও তৃণমূলই ছিলেন। নিশ্চয়ই কোনও কারণ ছিল, তাই দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। এখন নির্দল হয়েছেন। যদি ক্ষমতা থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বেচারাম মান্নার ছবি ফেলে দিয়ে নির্দলের অফিস বলে লিখুক। তাহলে ও কত বড় বাপের ব্যাটা বোঝা যাবে। পার্টি অফিস কখনও ব্যক্তিগত হয় না। এটা দলেরই।” পঞ্চায়েত গঠন হওয়ার পর ওই পার্টি অফিসের দখল নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।