Locket Chatterjee: ‘বাম আমলের থেকে ১০ গুণ হিংসা বেড়েছে তৃণমূলের সময়’, মত লকেটের
Locket Chatterjee: বুধবার হুগলির বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। অভিযোগ, হরিপাল পঞ্চায়েতের সমিতির বিজেপি প্রার্থী আশীস মিশ্র,বলাগড়ের মণ্ডল সভাপতি সুজয় বিশ্বাস,ধনিয়াখালীর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সৌদিপ ঘোষ আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের হাতে।
হুগলি: বাম নাকি তৃণমূল; কোন জমানায় কত হিংসা হয়েছে তা বোঝালেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “পঞ্চায়েত ভোটের নামে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। যা সিপিএম আমল থেকে দশগুণ বেশি।” একই সঙ্গে ভোটের দিন বহিরাগতদের নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ করেছেন লকেট।
বুধবার হুগলির বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। অভিযোগ, হরিপাল পঞ্চায়েতের সমিতির বিজেপি প্রার্থী আশীস মিশ্র,বলাগড়ের মণ্ডল সভাপতি সুজয় বিশ্বাস,ধনিয়াখালীর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সৌদিপ ঘোষ আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের হাতে। তাঁদেরই গতকাল চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে দেখতে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভোটের দিন কালনা থেকে লোক নিয়ে এসে বলাগড়ে উৎপাত করেছে। সন্ধ্যায় ভোট মিটতেই কাটারি দিয়ে কোপানো হয়েছিল বলাগড়ের মণ্ডল সভাপতি কে। তাঁর মামা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছে। খুব খরাপ অবস্থায় রয়েছে মাথা পুরো ফেটে গিয়েছে।” আরও একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে আনেন লকেট। উল্লেখ করেন, “ধনিয়াখালিতে আমাদের আরও এক কর্মীকে ভোট গণনার কেন্দ্রের ভিতরে মারধর করা হয়েছে। রড দিয়ে বন্দুক নিয়ে টেবিলের সামনেই এমন মেরেছে বুকের কাছে হারে চির ধরেছে। কাঁধের সাইডের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ডাক্তার বলেছে প্লাস্টার করা যাবে না।”
এখানেই শেষ নয়, পুলিশের বিরুদ্ধেও তুললেন গুরুতর অভিযোগ। হরিপাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকেও মারধর করছিল তৃণমূল। তিনি যখন রাজ্যে পুলিশের কাছে যান সাহায্যের জন্য, পুলিশ আবার তখন তাঁকে তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের গুণ্ডাদের হাতে। এতটাই নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়েছে যে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি বলে দাবি বিজেপি সাংসদের।
বিজেপি সাংসদ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের নামে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। যেভাবে হোক তাদেরকে জিততে হবে। আমরা একের পর এক সিপিএম আমলে এত মৃত্যু এরকম মার দেখেছি। এখন তার দশ গুণ বেড়ে গিয়েছে। আসলে তৃণমূল বিরোধী শূন্য চাইছে। শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের টাকা পয়সা নেতা থেকে মন্ত্রী নিজেদের বাড়িতে লোকানোর জন্য।