Petrol Price: ‘আমরা পেট্রোল ডিজেলে জিএসটিও আনব’, হুঁশিয়ারি অর্জুন সিংয়ের
Arjun Singh: তেলে জিএসটি লাগু হলে দাম লিটার প্রতি ষাট থেকে সত্তর টাকা হয়ে যাবে, দাবি অর্জুন সিংয়ের।
হুগলি: সোমবারই পেট্রোপণ্যের উপর রাজ্যের ভ্যাট কমানোর দাবি তুলে পথে নামছে বিজেপি। প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তাদের। ঠিক তার আগের দিন রবিবার উত্তরপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুনের অভিযোগ, জ্বালানি তেলে জিএসটি লাগু হলে দাম এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যেত। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা হতে দেননি।
এদিন উত্তরপাড়া মাখলায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “তেলে জিএসটি লাগু হলে দাম লিটার প্রতি ষাট থেকে সত্তর টাকা হয়ে যাবে। সেই জিএসটি আনতে দিল না। কেন্দ্র এক্সাইজ ডিউটি কমিয়েছে। অনেক রাজ্য এর পর ভ্যাটের টাকা কমিয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি ছিল না।”
অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার দীপাবলির আগে এক্সাইজ ডিউটি কমানোর কথা ঘোষণা করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্জুনের তোপ, “উনি কমাবেন না। কেন কমাবেন না? টাকা কোথায়? এক লিটারে এখান থেকে পয়তাল্লিশ টাকা নিয়ে নিচ্ছেন। তাতেই সংসার চলছে। এই সংসারটাকে বাঁচাবার জন্য এখন ওটা মানবেন না। একটু অপেক্ষা করুন। আগামিদিনে জিএসটিও আনব আমরা। আর দেখবেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গে না বেতন দিতে পারবে, না কিছু দিতে পারবে।”
পুজোর মরসুমে রান্নার গ্যাসের আকাশ ছোঁয়া দাম, পেট্রোল, ডিজেলের দামও গগনচুম্বী। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছিল ক্ষোভ। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে মুষ্ঠিবদ্ধ হচ্ছিল বিরোধীদের ‘রাজনীতি’। তবে বুধবার কার্যত মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে দিয়েছে মোদী-সরকার। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, গোয়া, কর্নাটক, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে পেট্রোল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে রাজ্য যে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (VAT) নেয় তা প্রতি লিটারে তারা কমাবে।
কিন্তু এখনও ১৪ টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল সেই পথে হাঁটেনি। এর মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, ডিজেল ও পেট্রোলের শুল্ক কমিয়ে সময় উপযোগী পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। ভারতের অন্যান্য রাজ্য ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রাপ্য পাওনাতেও ছাড় দিয়েছে। এ রাজ্যের রাজ্য সরকারও এবার নিজের দায়িত্ব পালন করুক। সরকার করে ছাড় দিক।
অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, ভোটে হেরে বিজেপি এখন এসব করছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন, “নিজেরাই দাম বাড়াচ্ছেন। নিজেরাই আচমকা দাম কমাচ্ছেন। এটা নাটক ছাড়া কিছুই নয়। কেন্দ্র সরকার বৈষম্যমূলক নীতিতে চলে। এই খাতে আপাত দৃষ্টিতে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি যদি কিছুটা রাজস্ব আদায় ছেড়েও দেয়, দেখা যাবে অন্য খাত দিয়ে তাদের পুষিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে তো বকেয়াই রয়েছে। প্রাপ্যটাই দিচ্ছে না। কর্তব্য স্মরণ করানোর রাজনৈতিক এই সস্তা পদক্ষেপ গুলো বিজেপির নাটক। ভোট বিধ্বস্ত হয়েছে। সামনে কয়েকটা রাজ্যে ভোট আসছে। মুখরক্ষার একটা রাজনৈতিক ফর্মুলা খুঁজছে।”
আরও পড়ুন: Crime: মাঝ রাস্তায় পিছন থেকে হ্যাঁচকা টান স্ত্রীকে, এরপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন স্বামী