Minor Harassment: স্কুলেই ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় খোদ শিক্ষক
Hooghly: ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির জিরাটে। বলাগর থানার অন্তর্গত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
হুগলি: এক নয়, দুই নয়, তিন নয়, আস্ত স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণি মিলিয়ে ছাত্রীদের একাংশ কার্যত আতঙ্ক নিয়েই স্কুল যেত। অভিযোগ, স্কুলেই শ্লীলতাহানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। অথচ ভয়ে বাড়িতে কেউ মুখ পর্যন্ত খুলতে পারছিল না। কখনও ক্লাস চলাকালীন আবার কখনও অফ পিরিয়ডেও নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। কে করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ঘৃণ্য কাজ? অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় অভিভাবক। কারণ কাঠগড়ায় হেনস্থার শিকার হওয়া ছাত্রীরা যাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে তিনি খোদ স্কুলের শিক্ষক। প্রায়শই তিনি বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে অবভ্য আচরণ করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির জিরাটে। বলাগর থানার অন্তর্গত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক মাঝেমধ্যেই ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতেন। অশোভন আচরণ করতেন। আর তারপর ভয় দেখানো হতো যেন কেউ বিষয়টি বাড়িতে না জানায়। প্রথম পর্যায়ে একরত্তি শিশুগুলি ভয়ে বলে উঠতে পারেনি বাবা-মাকেও। পরে যদিও বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় অভিভাবকের মধ্যে।
এরপরই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন অভিভাবকরা। বুধবার তারা এসে বিক্ষোভ দেখান স্কুলের সামনে। অভিযুক্ত শিক্ষককে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ময়দানে নামে পুলিশ। বলাগড় থানার আধিকারিকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের বক্তব্য, শিক্ষককে সমাজ গঠনের কারিগরি হিসেবেই দেখা হয়। তারাও যদি ভক্ষকের রূপে অবতীর্ণ হন তাহলে তারা আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষা দেবেন কীভাবে? বিষয়টি শুধু নিন্দা করলেই শেষ হয় না। এই ধরনের মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত প্রশাসনের।
এদিকে, স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগে হতবাক মিড ডে মিলের কর্মীরাও। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন অভিযুক্ত। আগে কোনদিনও তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠেনি। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষককের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গোটা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।