Hooghly Murder: বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে মা হিসাবে মানতে পারেনি ছেলে, পরিণতি হল নৃশংস
Hooghly Murder: অভিযোগ, ধারাল ছুরি নিয়ে বাবা ও মায়ের ওপর চড়ান হন তিনি। শরীরে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন তিনি। সে সময়ে চিৎকারে প্রতিবেশীরা এলাকায় জড়ো হয়ে যান।
হুগলি: বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে মা হিসাবে মেনে নিতে পারেননি ছেলে। তা নিয়েই অশান্তি। পারিবারিক বিবাদের জেরে বাবাকে শেষমেশ খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। গুরুত্বর আহত হয়েছেন দ্বিতীয় পক্ষের মাও। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ছেলেকে। ঘটনাটি ঘটেছে জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের নাম চন্দকান্ত সাহা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেই চলতি মাসের ১ তারিখ ভাড়া আসেন চন্দকান্ত সাহা ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা সাহা। অঞ্জনা চন্দকান্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। বাবার দ্বিতীয় বারের বিবাহিত স্ত্রীকে মা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি ছেলে নীলকান্ত সাহা। মঙ্গলবার রাতে ছেলে আচমকাই বাবার ভাড়া থাকা বাড়িতে এসে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, ধারাল ছুরি নিয়ে বাবা ও মায়ের ওপর চড়ান হন তিনি। শরীরে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন তিনি। সে সময়ে চিৎকারে প্রতিবেশীরা এলাকায় জড়ো হয়ে যান। চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ি মালিক ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চন্দকান্ত ও তার স্ত্রী অঞ্জনা। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে জিরিট আহমেদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা চন্দকান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আঘাতের পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয় চন্দকান্তের। অঞ্জনা সাহারও শ্বাসনালি কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকরা পাইপের মাধ্যমে কৃত্তিম ভাবে নিঃশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁকে বর্তমানে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বাড়ির মালিক রামকৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমার মোবাইলের ব্যবসা। রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় অশান্তি হতে দেখি। নিমেশের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে যায়। আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না এমন ঘটনা ঘটতে পারে।” অভিযুক্তকে বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে বলাগড় থানার পুলিশ।