Police: ‘মদ খেয়ে ডিউটি, ভাল অফিসারদেরও মহিলাদের প্রতি আসক্ত করে দিতেন’,বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে ‘কেস’ খাওয়ার পর থেকেই পুলিশ অফিসারের একাধিক ‘কেচ্ছা’ সামনে
Chanditala Former IC: সুরজিৎবাবু বলেন, "বলেন, "সাধারণ মানুষ চণ্ডীতলা থানায় যেতেন না। গেলেই পয়সা চাইত। কোনও কাজ করতেন না। উনি থাকাকালীন এটাই থানার চরিত্র হয়ে গিয়েছিল। এক সময় ভাল ভাল অফিসাররা চাকরি করে গিয়েছেন। তাঁরা মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছিলেন। জয়ন্তবাবুও দাগ কাটলেন মানুষের মনে। তবে কালো দাগ।"

চণ্ডীতলা: বাঁ হাতে গুলি খেয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন চণ্ডীতলার অপসারিত আইসি (IC) জয়ন্ত পাল। বান্ধবীর সঙ্গে কেনাকাটি করতে বেরিয়ে গুলি চলার ঘটনার পরেই ‘কেস’ খেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে আইসি পদ থেকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ উঠে আসছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধেই সরব এবার শাসকদলের নেতা। তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি সুরজিৎ মণ্ডলের দাবি, জয়ন্ত আইসি-র দায়িত্বে আসার পর থেকেই মাটি মাফিয়া-রাজ যেমন বেড়েছিল, তেমনই বেড়েছিল জুয়া-সাট্টার কারবারিদের।
সুরজিৎ মণ্ডলের দাবি, মদ খেয়ে ডিউটি করতেন তিনি। কার্যত সব কিছুর উর্ধ্বে চলে গিয়েছিলেন। একাধিক অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। চণ্ডীতলা থানাকে কলঙ্কিত করেছেন বলেও অভিযোগ। এলাকার কোনও সমস্যা নাকি কোনও দিন সমাধান করেননি। অভিযোগ জানাতে গেলেই দাবি করতেন টাকা। এমনই সব অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি।
সুরজিৎবাবু বলেন, “আমি প্রথমে আরোগ্য কামনা করি। শুনেছি ওঁর স্ত্রী-ছোট ছেলে আছে। উনি চণ্ডীতলা থানায় আগেও ছিলেন। মাটি মাফিয়া, জমি হাঙরদের দৌরাত্ম বেড়েছিল। মানুষ প্রতিবাদ করলে হুমকি দিতেন। কেস দিয়ে দিতেন। মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতেন। জনপ্রতিনিধিদের পাত্তা দিতেন না। আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ল না।” তিনি এও বলেন, “উনি সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে ভিলেজ পুলিশ। এমনকী দক্ষ অফিসারদের মদে আসক্ত করে দিতেন। মহিলা সংক্রান্ত ব্যাপারে আসক্ত করেছেন। চরিত্র খারাপ করে দিতেন সকলের।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ চণ্ডীতলা থানায় যেতেন না। গেলেই পয়সা চাইত। কোনও কাজ করতেন না। উনি থাকাকালীন এটাই থানার চরিত্র হয়ে গিয়েছিল। এক সময় ভাল ভাল অফিসাররা চাকরি করে গিয়েছেন। তাঁরা মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছিলেন। জয়ন্তবাবুও দাগ কাটলেন মানুষের মনে। তবে কালো দাগ।”





