CPIM: বাংলায় ‘শূন্য’ সিপিএমকে ফের গ্রামে তাকানোর বার্তা প্রকাশের, যুবদের আরও গুরুত্ব দিতে চান সেলিম
CPIM: সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "সংগঠনকে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। পার্টির মধ্যে ছাত্র, যুবদের অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও বাধাই মানা হবে না।"

ডানকুনি: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। একুশের নির্বাচনে খাতা খুলতে ব্যর্থ সিপিএম কতটা প্রভাব ফেলবে ওই বিধানসভা নির্বাচনে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। আর এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে দলের নেতাদের গ্রামে গিয়ে কাজ করার বার্তা দিলেন প্রকাশ কারাট। রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, “গ্রামে গিয়ে কাজ করুন। গরিব মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।”
শনিবার ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রকাশ কারাট বলেন, “গ্রামে না গেলে সংগঠন কিছুতেই মজবুত করা সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক আন্দোলন শক্তিশালী না হলে দেশেও বাম আন্দোলন শক্তিশালী হবে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে আন্দোলন করুন।” যেভাবে আরজি করের আন্দোলন হয়েছে, তার প্রশংসা করলেও কেন আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তোলেন পলিটব্যুরো কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ। তবে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “সংগঠনকে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। পার্টির মধ্যে ছাত্র, যুবদের অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও বাধাই মানা হবে না।” দলে প্রচুর নতুন ছাত্র, যুবরা এলেও কেন তাঁদের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা যাচ্ছে না তা নিয়েও উদ্বেগ ধরা পড়েছে সেলিমের ভাষণে। মেরুকরণের রাজনীতি কিভাবে ভেঙে দল শক্তিশালী করা যায়, তার উপরেও জোর দেন সেলিম।
প্রথম দিনের সম্মেলনে ৯ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন। শাখা স্তরের দুর্বলতা, নেতা হওয়ার প্রবণতা, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা না থাকা সমস্ত প্রসঙ্গই উঠে এসেছে প্রতিনিধিদের আলোচনায়।
হুগলির এক প্রতিনিধি প্রশ্ন তোলেন, “মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বললেও আমরা আদৌ সেই পথে হাঁটছি তো? নাকি সংসদীয় রাজনীতির আবর্তে পার্টি ক্রমশ আটকে যাচ্ছে?”
নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়েও তাঁদের বক্তৃতায় প্রশ্ন তোলেন দু’জন প্রতিনিধি। আইএসএফকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সম্মেলনে। প্রসঙ্গত, সিপিএমের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসএফ নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বললেও দলের কেউ কেউ অবশ্য এই নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন।





