Durga Puja: ‘সুজিত-অরূপের পুজোর থেকে কম কিছু নয়’, কী রয়েছে কল্যাণের পাড়ার পুজোয়?
Kalyan Banerjee on Sreerampur Durga Puja: শ্রীরামপুরের গান্ধী ময়দানে এই পুজোতে প্রতি বছরই দেখা মেলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শ্রীরামপুরের অন্যতম বড় দুর্গাপুজো এটি। এ বছর এই পুজো মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে। এই পুজো কল্যাণবাবুর পাড়ার পুজো বলেই পরিচিত।
শ্রীরামপুর: এখানে তিনি কোনও রাজনীতিক, বা সাংসদ, বা কোনও আইনজীবী নন। এখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একদম ঘরের ছেলে। নিজের পাড়ায় পুজোয় একেবারে ভিন্ন মেজাজে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা। ঢাক বাজালেন, আড্ডা মারলেন। সপ্তমীর সন্ধেয় অনেকটা সময় কাটালেন পাড়ার পুজোয়। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, কলকাতায় যেমন ভিড় হচ্ছে ঠাকুর দেখার জন্য, মফঃস্বলগুলিও পিছিয়ে থাকছে না। মজার ছলে বললেন, “মফঃস্বলে তো লোক কম হচ্ছে না। ওদের মন্ত্রী রয়েছে, বড় বড় ফিল্মস্টার রয়েছে। তারপর বড় ফুটবলার নিয়ে এসে ওদের লোক করতে হচ্ছে। আমার এখানে সেসব কিছু নেই। এখানে যা লোক আসে সুজিত-অরূপের পুজোর থেকে কম কিছু নয়। শুধু শ্রীরামপুর বলেই মার খেয়ে গিয়েছি।”
শ্রীরামপুরের গান্ধী ময়দানে এই পুজোতে প্রতি বছরই দেখা মেলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শ্রীরামপুরের অন্যতম বড় দুর্গাপুজো এটি। এ বছর এই পুজো মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে। এই পুজো কল্যাণবাবুর পাড়ার পুজো বলেই পরিচিত। আর নিজের পাড়ার পুজো নিয়ে বেশ গর্বিত বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। বুঝিয়ে দিলেন, কলকাতায় তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতার পুজোগুলির থেকে শ্রীরামপুরের পুজো কোনও অংশে কম যায় না।
আজকের দিনে যখন চারিদিকে থিম পুজোর ধুম, তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু পছন্দ সাবেকিয়ানাই। যদিও থিম পুুজোর বিরোধী নন তিনি। বললেন, “থিম পুজোয় বিভিন্ন শিল্প-সৃষ্টি ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। অনেক পরিশ্রম করে সেই শিল্পভাবনা বের করেন তাঁরা। এর সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। তাই কোনওটার সঙ্গেই কোনওটার তুলনা সেই অর্থে করা চলে না।” তবে ব্যক্তিগতভাবে সাবেকিয়ানাই তাঁর পছন্দ। দেবী দুর্গার আদি রূপই তাঁর পছন্দের।