পোস্টাল ব্যালটে ভোট নিয়ে উত্তেজনা, বিজেপি-তৃণমূল দুই পক্ষই দ্বারস্থ কমিশনের
বুধবার শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরে বয়স্কদের ভোট নিতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। সেই ব্যালট পেপারের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে কার্যত উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল এলাকায়। অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর দ্বার্স্থ হল তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP) দু'ক্ষই।
হুগলি: বুধবার শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরে বয়স্কদের ভোট নিতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। সেই ব্যালট পেপারের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে কার্যত উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল এলাকায়। অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর দ্বারস্থ হল তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP) দু’ক্ষই।
বিজেপির অভিযোগ, কমিশনের নির্দেশ মত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট থাকার কথা। সেই মতো তারা বিভিন্ন বুথে ব্যালট ভোট প্রক্রিয়ার সময় হাজির হন। কিন্তু তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ভোটের আগে একটি বাড়িতে বিজেপি কর্মীরা একটি বাড়িতে গেলে সেখানে তাঁদের ঢুকতে দেননি ভোট কর্মীরা। এই অভিযোগে তাঁদের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধে যায় বিজেপির। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবির শঙ্কর বোস। এর পর আরও উত্তেজনা ছড়ায়। ভোট কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়।
বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, কমিশন পোলিং এজেন্টের নাম চেয়েছিল। সেই মতো নামও জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা ভোট চলাকালীন পরিচয়পত্র দিয়ে ঢুকতে চাইলেও তা মানেননি ভোট কর্মীরা। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, খবর পেয়ে তিনি উপস্থিত হন, একই ব্যবহারের মুখোমুখি হন তিনিও। এইসবের মধ্যে অনেকগুলো ভোট হয়ে যায়। তাই সব ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: চার বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি তৃণমূলের! ঠিক কী অভিযোগ?
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সন্তোষ সিং বলেন, বিজেপি প্রার্থী ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছেন। এদিন আশি বছরের উপর বয়স্কদের বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণের সময় বিজেপি প্রার্থী লোকজন নিয়ে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কমিশন যখন বলছে, প্রত্যেক দলের একজন করে এজেন্ট থাকতে পারবেন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী পনেরো-কুড়িজনকে নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে যান। ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগে কমিশনের কাছে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।