Cyber Crime: ‘দাদা পেমেন্ট হয়ে গেছে…’, সাইবার প্রতারণার নতুন ফাঁদ থেকে সাবধান
Online Fraud: গত দেড় দু'বছরে সাইবার ক্রাইমের প্রবণতা প্রবলভাবে বেড়েছে। কোভিডের পর থেকে মানুষ অনেক বেশি অনলাইন কেনাকাটায় স্বচ্ছন্দ্য।
হুগলি: এতদিন ফোনের ওপার থেকে চলত প্রতারণা। এবার বাজারে নতুন প্রতারণাচক্র। চোখের সামনেই ঠকিয়ে চলে গেল, ধরতেই পারলেন না দোকানি। ৮ হাজার টাকার উপরে জিনিস নিয়ে পগারপার তিন যুবক। এদিকে প্রতারিত হয়ে কপালে হাত উত্তরপাড়ার ব্যবসায়ী উৎপল ঘোষের। এখানকার পুরোহিত লেনের বাসিন্দা উৎপল ঘোষের জেকে স্ট্রিটে একটি স্টেশনারি দোকান আছে। উৎপলের অভিযোগ, ক্রেতা সেজে বৃহস্পতিবার তিন যুবক তাঁর দোকানে এসেছিলেন। প্রচুর টাকার জিনিস কেনেন। আগেই জেনে নিয়েছিলেন, ‘অনলাইন পেমেন্ট হয় তো?’ দোকানির সম্মতি মিলতেই ব্যাগ ভরে জিনিস তুলে নেন। এরপর অনলাইনে টাকাও দেন। কিন্তু দু’দিন পার হতে চলল, উৎপলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর টাকা ঢুকল না। সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে, জেকে স্ট্রিটের ওই দোকানি এখন উত্তরপাড়া পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
উৎপল ঘোষ বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ তিনটে ছেলে দোকানে আসে। কিছু জিনিস কেনে। ৮ হাজার টাকার উপরে জিনিস নেয়। বলল অনলাইনে টাকা দেবে। ওরা পেমেন্ট করে দিলেও, আমার ব্যাঙ্কের কোনও মেসেজ ঢোকেনি। তবু ওরা ওদের মোবাইলের স্ক্রিনশট দেখায়। বলে, টাকা চলে গেছে। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও ওই স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ওরা চলে যাওয়ার মিনিট ২-৩’র মধ্যে ওই মেসেজটা আবার ডিলিটও করে দেয়। তখনই আমার সন্দেহ হয়। ফোন নম্বরে ফোন করে দেখি সুইচড অফ। এরপর উত্তরপাড়া থানায় সবটা জানাই।” উত্তরপাড়া থানার পাশাপাশি চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানাতেও অভিযোগ জানান তিনি।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে গত দেড় দু’বছরে সাইবার ক্রাইমের প্রবণতা প্রবলভাবে বেড়েছে। কোভিডের পর থেকে মানুষ অনেক বেশি অনলাইন কেনাকাটায় স্বচ্ছন্দ্য। একটা সময় বড় অঙ্কের কিছু কিনতে গেলে ‘কার্ড পাঞ্চ’ করতেন। ধীরে ধীরে ইউপিআই পেমেন্ট নির্ভর হয়ে ওঠেন। এখন তো এক কাপ চা কিংবা ১০ টাকার ফুচকার বিলও অনলাইনেই মেটান বহু মানুষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দেদার ফাঁদ পাতছে সাইবার অপরাধীরা। উৎপল ঘোষও তেমনই অপরাধের শিকার, মানছে পুলিশ।