21 July: কারও শার্টে রক্তের ছোপ, কারও কপাল ফেটে রক্তারক্তি, একুশের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা গুড়াপে
Gurap: জানা গিয়েছে, গাড়ি দু'টি দুই জেলা থেকে এসেছে। একটি বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থেকে, অন্যটি বীরভূমের ইলামবাজার থেকে।
হুগলি: গার্ডেনরিচ উড়ালপুরের পর এবার হুগলির গুড়াপ। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে পথদুর্ঘটনায় জখম হলেন ৬ জন। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের দু’টি গাড়ি এদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জানা গিয়েছে, ধর্মতলায় তৃণমূলের একুশের সমাবেশ থেকে ফিরছিল গাড়ি দু’টি। এক্সপ্রেসওয়ের উপর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। আহত হন ছ’জন। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গাড়ি দু’টি দুই জেলা থেকে এসেছে। একটি বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থেকে, অন্যটি বীরভূমের ইলামবাজার থেকে। একটি ছোট গাড়ি, অন্যটি বাস। জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ধর্মতলা থেকে ফেরার সময় গুড়াপে ছোট গাড়িটির মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে সেটি। এরপরই পিছন থেকে জোর গতিতে আসা বাসটি এসে সজোরে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় ৬ জন আহত হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে ২ জনের আঘাত বেশি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সহযোগিতায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দু’টিকে ক্রেন দিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়। তৃণমূল নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বাস আর একটা গাড়ির ধাক্কা লাগে। আমাদের বিধায়ক এসেছিলেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমাদের বর্ধমান দক্ষিণের যিনি বিধায়ক আছেন, তিনি ওদিকে সবটাই দেখছেন। আমরা একটা আলাদা বাসের ব্যবস্থা করে বাকি কর্মীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। কোনও সমস্যা নেই।”
এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, “আমরা ইলামবাজার থেকে এসেছি। ধর্মতলার সমাবেশ থেকে ফেরার সময় একটা ছোট গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এখানকার যিনি বিধায়ক দিদি আছেন, তিনি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আসেন। সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন। উনি সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাসের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন।”