Mystery death: মুখে মাস্ক, কানে এয়ারফোন, গাছে ঝুলছে দেহ! আঁতকে উঠল পথচারীরা
Howrah Mystery Death: জানা গিয়েছে, সাঁপুইপাড়ার বাসিন্দারা ওই যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। প্রথমে তাঁরা বেলুড় জি আর পিকে খবর দেন। বেলুড় জি আর পির আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু ঘটনাটি নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় হওয়ায় পরে নিশ্চিন্দা থানায় খবর দেওয়া হয়।
হাওড়া: রেল লাইন থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছের ডাল। তাতেই উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। তার মুখে মাস্ক আর কানে এয়ারফোন লাগানো রয়েছে। ওই অবস্থায় ওই যুবকের দেহ পাওয়া গেল গাছের ডালে। বুধবার দুপুরে হাওড়ার নিশ্চিন্দা এলাকায় এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বেলুড় স্টেশন থেকে জায়গাটা খুব বেশি দূরে নয়। নিশ্চিন্দা থানার সাঁপুইপাড়া এলাকায় পড়ে বারো নম্বর রেলগেট। সেই রেলগেট থেকে কিছুটা দূরের এই এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নির্জন। এদিন সকালে সেখানেই একটি গাছে বছর পঁচিশের এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দৃশ্যতই আঁতকে ওঠেন তাঁরা। দেখা যায়, যুবকের কানে এয়ারফোন লাগানো রয়েছে। আর নীচেই পড়ে রয়েছে মোবাইল ফোন। ওইভাবে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে খবর দেওয়া হয় থানায়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। ঘটনাস্থল মৃতের মোবাইলটিও পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সাঁপুইপাড়ার বাসিন্দারা ওই যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। প্রথমে তাঁরা বেলুড় জি আর পিকে খবর দেন। বেলুড় জি আর পির আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু ঘটনাটি নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় হওয়ায় পরে নিশ্চিন্দা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এর পর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকের নাম দীপক মেহেরা (২৬)। বর্ধমান জেলার মাধবপুরের বাসিন্দা তিনি। কিন্তু তিনি নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়ার রেল লাইনের ধারে কী করছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই যুবকের মোবাইলটি আনলক করে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পুলিশ। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন আত্মহত্যাই করেছে ওই যুবক। গামছা দিয়ে গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের কানে এয়ারফোন ও পকেটে মোবাইল ছিল তাঁর। সেক্ষত্রে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে আত্মহত্যা করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে খুনের সন্দেহ-ও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও, মৃতের পা দুটি আবার মাটিতে ঠেকে ছিল। তাহলে কি খুন? নাকি আত্মহত্যা? খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবার কানে এয়ারফোন থাকার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
এর আগে গত রবিবার সকালে হাওড়া কোর্ট চত্বর থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাওড়া থানার পুলিশ। তা নিয়েও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। শিবু পাল নামে ওই ব্যক্তি কয়েক বছর আগে হাওড়া কোর্টে মুহুরীর কাজ করত বলে জানা যায়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। সেই মৃতদেহও ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও তার পা মাটিতে ঠেকে ছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল জেলায়।
আরও পড়ুন: Alipurduar: মাঝরাতে বন্দুক নিয়ে বিডিও-র ঘরে হামলা, প্রাণনাশের হমকি!