Bally PS: থানা থেকে পালিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ ‘চোরের’, পাড়ে দাঁড়িয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খাচ্ছে পুলিশ, বালিব্রিজের পরের দৃশ্যে হার মানবে সিনেমা
Bally PS: রবিবার সকালে বালি পুলিশের অসতর্কতায় থানা থেকে পালিয়ে যায় এক যুবক। ওই যুবককে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। থানা থেকে সোজা দৌড়ে সে যুবক গঙ্গায় ঝাঁপ মারে। পিছন পিছন তাড়া করে পুলিশ কিন্তু গঙ্গায় ধারে গিয়ে অসহায় হয়ে যায়।
হাওড়া: সিনেমার প্লটকেও হার মানাবে। সুযোগ বুঝে থানার পাঁচিল টপকে দৌড় লাগিয়েছিল ‘চোর’। তারপর সরু গলি ধরে দে ছুট! কিন্তু নজর এড়াতে পারেনি পুলিশের। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাও তার পিছনে দৌড়তে শুরু করেন। ‘চোর’ গিয়ে পৌঁছয় গঙ্গার ধারে। এবার? পিছনে পুলিশ, সামনে জল। কিছু না ভেবে নদীতেই ঝাঁপ ‘চোরের’। কিন্তু উর্দিধারীরা কী করবেন? তাঁরা তো আর জলে নামতে পারছেন না। একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। ‘চোর’ ততক্ষণে সাঁতরে চলে গিয়েছেন বহুদূর। পুলিশ চিৎকার করছে ‘চোর চোর’! অদ্ভুতকাণ্ড গঙ্গায় ততক্ষণে ঝাঁপ দিয়েছেন অন্য ব্যক্তি, চোর ধরবেন বলে। চোর ধরা পড়ল বটে! তবে বালি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। রবিবার সকালে বালি পুলিশের অসতর্কতায় থানা থেকে পালিয়ে যায় এক যুবক। ওই যুবককে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। থানা থেকে সোজা দৌড়ে সে যুবক গঙ্গায় ঝাঁপ মারে। পিছন পিছন তাড়া করে পুলিশ কিন্তু গঙ্গায় ধারে গিয়ে অসহায় হয়ে যায়। সাঁতারের পটু চোর ততক্ষণে জোয়ারের টানে বালি ব্রিজের দিকে চলে যাচ্ছেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের গঙ্গার ঘাট থেকে চোর চোর চিৎকারে ব্রিজের কাছাকাছি থাকা একটি মাছ ধরার নৌকার মাঝিদের নজরে পড়ে বিষয়টি।
ততক্ষণে পুলিশ নয়, একজন সাধারণ মানুষ ‘চোর’কে তাড়া করে গঙ্গায় ঝাঁপ মেরেছেন। দীর্ঘ সাঁতারে ক্লান্ত ‘চোর’ ততক্ষণে বাঁচার জন্য আঁকড়ে ধরেছে নৌকা। অতঃপর সেই চোরকে নৌকায় তুলে বালি নিমতলা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ বিক্রম নামে ওই যুবককে আবার থানায় নিয়ে আসে। কী করে থানা থেকে এভাবে পালিয়ে গেল যুবক, এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি পুলিশ কর্মীরা। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গেল।