AMTA Student Death: ‘ব্যর্থ’ পুলিশ, ৭২ ঘণ্টার পরও অধরা অভিযুক্ত, আনিস মৃত্যু কাণ্ডে তদন্তভার নিতে পারে CID

হাওড়া: ছাত্র নেতার মৃত্যুতে উত্তপ্ত আমতা। দফায়-দফায় চলছে বিক্ষোভ। সঠিক তদন্তের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন হাজার-হাজার এলাকাবাসী। রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে ইতিমধ্যে। আনিসের পরিবার যখন গোট ঘটনায় জেলা পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছে সেই সময় তদন্তে নয়া মোড়। ছাত্র মৃত্যুতে এবার দায়িত্ব হাতে নিতে পারে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানের কাজও শুরু করেছে তারা। হাওড়া জেলা পুলিশের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য-রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

আনিসের মৃত্যুর পর থেকে প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশকে দোষারোপ করছিল তার পরিবার। তাদের একটাই প্রশ্ন শুক্রবার মৃত্যু হলেও একদিন কেটে যাওয়ার পরও কেন গতকাল নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি? কেন এত দেরীতে এল পুলিশ? কেন দেরীতে শুরু হল তদন্ত?একাধিক প্রশ্ন তুলে পুলিশকে ঘিরে ফেলেন এলাকাবাসী। আনিসের বাবা যদিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্ত হাতে তুলে নিতে পারে সিআইডি এমনটাই প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে আনিসের বাবা জানান, “সিআইডি তদন্তের উপর আমার ভরসা নেই। তাই আমি চাইছি সিবিআই তদন্ত হোক।”

রবিবার সকাল থেকেই দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আমতাবাসী। এলাকাস্থানে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। গোটা বিষয়ে আমতা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সস্পেক্টর সুরজিৎ পাত্র বলেন, “যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি অবশ্যই তদন্ত করছেন। ৩০২ ধারায় মামলা রজু হয়েছে। ফরেন্সিক টিম আসবে। তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সেই কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পুলিশ তার কাজ করছে।”

প্রসঙ্গত, আইএসএফ করতেন আনিস। এর আগে বাগনান কলেজে পড়ার সময় এসএফআইয়ের সমর্থক ছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করা হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার রাতে, তাঁর বাড়িতে ‘পুলিশ’ গিয়েছিল। অভিযোগ উঠছে, তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক পুলিশ অফিসার এসেছিল। তারা জোর করে বাড়িতে ঢুকে তিনতলায় উঠে যায়। তার কিছুসময় পরেই ভারী কিছু উপর থেকে নীচে পড়ার আওয়াজ। ছুটে গিয়ে দেখা যায়, আনিস পড়ে আছে। অভিযোগ উঠছে, যারা সেই সময় বাড়িতে এসেছিল, তারাই ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: Anish Khan Death: আনিস মৃত্যুতে ফুঁসছে আমতা, পুলিশকে রুখতে একাট্টা হাজার-হাজার এলাকাবাসী