দুয়ারে ‘করোনা’, নাকাল সরকার; বিধি মাথায় তুলে ব্যারিকেড ভাঙল জনতা

Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) এর একর শিবিরে উঠে এল চরম অব্যবস্থার ছবি। করোনা বিধি (Corona Guideline)কে শিকেয় তুলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হাওড়ায় দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে। চরম হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলায় একাধিক মানুষ হলেন অসুস্থ।

দুয়ারে 'করোনা', নাকাল সরকার; বিধি মাথায় তুলে ব্যারিকেড ভাঙল জনতা
পুজো মণ্ডপগুলি মানতে হবে করোনা বিধি নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 8:07 PM

হাওড়া: দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) এর একর শিবিরে উঠে এল চরম অব্যবস্থার ছবি। করোনা বিধি (Corona Guideline)কে শিকেয় তুলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হাওড়ায় দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে। চরম হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলায় একাধিক মানুষ হলেন অসুস্থ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত হিমশিম খেল পুলিশ।

মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) ও স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) প্রকল্পের সুবিধা নিতে জেলায় জেলায় সরকারি শিবিরে উপচে পড়ছে ভিড়। কেউ মধ্য রাত থেকে লাইন দিয়েছেন তো কেউ ভোর রাত থেকে। আর বুধবার এমনই চিত্র দেখা গেল হাওড়ার সাঁতরাগাছি কেদারনাথ স্কুলে। ভোর রাত থেকে ভিড় জমেছিল স্কুলে বসা দুয়ার সরকার ক্যাম্পে। করোনা বিধি কার্যত শিকেয় তুলে মানুষের ভিড় থিক থিক করছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চত্বরে। যা কার্যত চোখ কপালে তুলতে বাধ্য। করোনার ভীতি কিংবা দূরত্ববিধির বালাই যেমন নেই, সামান্য মাস্ক পারেননি বহু মানুষ। শুধু কী তাই! এরপর ফর্ম জমা দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি ও চরম বিশৃঙ্খলায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন।

এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নাকাল পুলিশও। তাঁরা কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। পুলিশের এএই হিমশিম দশার মধ্যে অভিযোগ উঠেছে যে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আর পর্যাপ্ত পুলিশি নজরদারি বা প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাব রয়েছে। ফলস্বরূপ যাত্রাপালা ভাঙার পর দর্শকের হুড়োহুড়ির চিত্র সরকারি শিবিরে। হাজার দশেক মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশকর্মী। অভিযোগ এমনই।

বুধবার ভোর রাত থেকেই লাইন পড়া শুরু হয় সাঁতরাগাছি কেদারনাথ স্কুলে। বেলা বাড়তেই ক্যাম্পের সেই লাইন স্কুল চত্বর ছাড়িয়ে একদিকে শাস্ত্রী নরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি রোড এবং অন্যদিকে মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে যায়। অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার দরুণ বেলা বাড়তেই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ধৈর্য্য হারিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মহিলারা বাঁশের ব্যারিকেড গলে আগে যেতে শুরু করে। আর তখনই শুরু হয় ঝামেলা। ধাক্কাধাক্কি আর ঠাসাঠাসি শুরু হয় ক্যাম্প চত্বরে। লাইন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার একাধিক বার বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

পরিষেবা নিতে এসে এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ বীরেন দাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘একবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্যাম্প তো একবার স্বাস্থ্যসাথী ক্যাম্পে ঘোরানো হচ্ছে ভিতরে। তার মধ্যে চূড়ান্ত ভিড়। যা নিয়ন্ত্রণে যে পরিমান পুলিস থাকার দরকার ছিল তা দেখা যায়নি। হুড়োহুড়িতে কয়েকজন অসুস্থ হলেও যেকোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত এই ক্যাম্প চত্বরেই।’

মৌসুমী চক্রবর্তী নামে এক মহিলা জানান, করোনা তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে দুয়ারে সরকার যেভাবে হচ্ছে তাতে ভয় থেকেই যাচ্ছে। সরকারের পরিষেবা দেওয়া ভাল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সবকিছু নজরদারি করা দরকার প্রশাসনের।

এদিকে পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, সবই ঠিক ছিল। কিন্তু কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে ভাবে লাইন ভেঙে যেতে চাইলে সমস্যা হয়। পরে তাঁরা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন পরিস্থিতি। আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারের শিবিরে প্রবেশের আগেই বিজেপি উপপ্রধানকে ‘মারধর’!