CPIM: সেলিমের মুখে ‘নেড়ি পুলিশ’ তত্ত্ব, পাল্টা সিপিএমকে ৩৪ বছর ‘স্মরণ’ করাল তৃণমূল
CPIM: চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশের 'কামড়' প্রসঙ্গে বললেন, "কলকাতা শহরে ইংরেজ আমল থেকে দুই ধরনের কুকুর রয়েছে। একটি হল পোষা কুকুর, অন্যটি রাস্তার নেড়ি কুত্তা। সেটি থেকে সাবধান থাকতে হয়।"
হাওড়া: এক আন্দোলনরত প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের ‘কামড়’ ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এবার পুলিশি ব্যবস্থাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সিপিএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim)। চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশের ‘কামড়’ প্রসঙ্গে বললেন, “কলকাতা শহরে ইংরেজ আমল থেকে দুই ধরনের কুকুর রয়েছে। একটি হল পোষা কুকুর, অন্যটি রাস্তার নেড়ি কুত্তা। সেটি থেকে সাবধান থাকতে হয়। আজ যে কামড়াকামড়ি হচ্ছে, সেটি কারা করছে? আগে পুলিশ ছিল, তারপর সিভিক হল, এখন দেখছি নেড়ি পুলিশ হল নাকি?”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মুখে এই ধরনের মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। কড়া ভাষায় এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল শিবির। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ পাল্টা বলেন, “আসলে সিপিএম ৩৪ বছর পুলিশকে কুকুর বানিয়ে রেখেছিল। ওরা মনে করে পুলিশ বোধ হয় ওইরকম। তাই এমন মন্তব্য করেছেন সেলিম। সিপিএমের আমলের মরিচঝাঁপি থেকে নন্দীগ্রাম কিছুই ভোলেনি মানুষ। ওদের মুখে এসব কথা মানায় না।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ২০১৪ টেট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশি ধস্তাধস্তির সময় এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশ কামড়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। হাতে দাগ বসানো সেই ছবিও ধরা পড়েছিল। যদিও পুলিশের তরফে পাল্টা দাবি, পুলিশকে কামড়ানো হয়েছিল। এই নিয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “পুলিশ কামড় দিল কেন, এটাই আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তবে যদি কামড়ে থাকে, তাহলে সেটা নিশ্চিতভাবে পুলিশের কোড অব কনডাক্টে আটকে যায়। কামড়ে দেওয়াটা পুলিশের কোনও কনডাক্টে পড়ে না।” তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ও বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “পুলিশ নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত করছে। সংযত থাকলেও, একটা ছোট ঘটনার জন্য পুলিশ কলঙ্কিত হল।”