Mid Day Meal: ৪ টাকা ৯৭ পয়সা যথেষ্ট নয়, পকেটের টাকা দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে মিড ডে মিল, অব্য়াহতি চান প্রধান শিক্ষক

Mid Day Meal: যে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে বরাদ্দ টাকায় আর খাবার দেওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান শিক্ষক।

Mid Day Meal: ৪ টাকা ৯৭ পয়সা যথেষ্ট নয়, পকেটের টাকা দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে মিড ডে মিল, অব্য়াহতি চান প্রধান শিক্ষক
মিড ডে মিল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 4:33 PM

আমতা: ভাত-জাল নয়, মিড ডে মিলে বিস্কুট খাইয়েই পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। কেন তিনি এমনটা করলেন, তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। জবাব দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সাফ জানালেন, মিড ডে মিলের জন্য পড়ুয়া পিছু যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার আমতা এক নম্বর ব্লকের কাষ্ঠসাঙরা শিবানী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। রীতিমতো হিসেব দিয়ে প্রধান শিক্ষক বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের খাওয়াতে হচ্ছে।?

সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, স্কুলে মিড ডে মিলে বিস্কুট দেওয়া হয়েছে। এসএমএস করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে সে কথা জানিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ জাসু। বিডিও তাঁর স্কুল পরিদর্শন করে জানান, ভাতই দিতে হবে মিড ডে মিলে। কেন তা দেওয়া হল না? তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। এরপরই আমতা ইস্ট সার্কলের স্কুর পরিদর্শককে চিঠি দিয়ে কারণ ব্যাখ্যা করেন ওই শিক্ষক। তিনি জানান, ওই দিন এলাকায় পার্বন থাকায়, রান্না করা খাবার খেতে চাইছিল না পড়ুয়ারা। তাই শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকেই বিস্কুট দেওয়া হয়েছিল।

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মিড ডে মিলের জন্য যা বরাদ্দ করা হয়, তা অনেকটাই কম। ফলে পড়ুয়াদের প্রতিদিন খাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে।

প্রতিদিনের মেনু তিনি উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। ভাতের সঙ্গে কোনও দিন থাকে সয়াবিন, কোনও দিন ডিমের ঝোল, কোনও দিন ডাল, তরকারি। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলের মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৪৫। নিয়ম অনুযায়ী, মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা যা থেকে ১৫ শতাংশ কম পড়ুয়ার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই স্কুলের ক্ষেত্রে প্রতি পড়ুয়া পিছু ৪ টাকা ৯৭ পয়সা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতে তাতে স্কুলের মিড ডে মিল চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন বিবেকানন্দ জাসু। তাই তিনি ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

স্কুলের পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, ভাত, ডাল, ডিম, সয়াবিন সবই দেওয়া হয় তাঁদের। প্রধান শিক্ষকের দাবি, খাবার দেওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে তাঁর নিজের পকেট থেকে অন্তত ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। এ ভাবে আর মিড ডে মিল চালাতে পারছেন না তিনি।