Howrah School: নদীর জলে ডুবতে বসেছে স্কুল, পড়ুয়াদের জুটেছে ক্লাবের দু’খানা ঘর

Howrah School: পড়াশোনা তো দূরের কথা, ভালভাবে বসার জায়গা পর্যন্ত মিলছে না পড়ুয়াদের। গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে ক্লাস করাও সম্ভব হচ্ছে না সবার।

Howrah School: নদীর জলে ডুবতে বসেছে স্কুল, পড়ুয়াদের জুটেছে ক্লাবের দু'খানা ঘর
হাওড়ার সেই স্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 11:49 PM

হাওড়া: করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় ২ বছর স্কুলে আসতে পারেননি পড়ুয়ারা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় অবশেষে ক্লাসরুমের দরজা খুলেছে, কিন্তু রাজ্যের একাধিক স্কুলেই নানা সমস্যার মুখে পড়েছেন পড়ুয়ারা। কোথাও শিক্ষকের অভাব, আবার কোথাও ক্লাসরুমটুকুও জুটছে না। হাওড়ার একটি স্কুলে এমনই অবস্থা। নদীর ভাঙনের জেরেই অস্থায়ী জায়গায় নিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে। ক্লাবের দু’খানা ঘরে সব পড়ুয়ার বসার ব্যবস্থাও নেই। কোনও ক্রমে পড়াশোনা চলছে বটে, তবে নিয়মিত ক্লাসে আসছেন না অনেক পড়ুয়াই।

হাওড়ার শ্যামপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুরের প্রাথমিক স্কুলটি একেবার নদীর কাছে। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে স্কুলের দিকে এগিয়ে এসেছে অনেকটাই। যে কোনও সময় স্কুলটিও নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। তাই প্রশাসনের তৎপরতায় স্কুল সরানো হয়েছে ঠিকই। কিন্তু অভিযোগ, ভাঙনের কাজ এতটাই ধীরগতিতে এগোচ্ছে যে স্কুলে কবে ফিরতে পারবে পড়ুয়ারা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

গত ২০ মার্চ হাওড়া শ্যামপুরের ওই অঞ্চলে হুগলি নদীর বাঁধ প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেচ দফতর বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু তা চলছে ধীর গতিতে। এই বর্ষায় নদী ভয়াবহ রূপ হয়। তা দেখে গ্রামের মানুষের আশঙ্কা, আবার ভাঙতে পারে বাঁধ। বর্তমানে এলাকার একটি ক্লাবে ক্লাস করানো হচ্ছে। ক্লাবের দুটি ঘরের মধ্যেই পাঁচটা ক্লাস চলছে। টেবিল, চেয়ারের তো কোনও বালাই নেই। এক পড়ুয়া বলছে, বসার জায়গা নেই। পা মুড়ে বসতে হচ্ছে। খুব অসুবিধা হচ্ছে। অভিভাবকদের দাবি, গ্রাম থেকে দূরে ক্লাসের ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন সন্তানদের পাঠানো সম্ভব নয়।

পঞ্চায়েত প্রধান শিখা প্রামাণিকের দাবি, বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। ধাপে ধাপে এগোচ্ছে কাজ। কত টাকা লাগবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের তরফে স্কুলটা সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসুবিধা হচ্ছে, সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। তবে স্কুল কবে থেকে চালু করা যাবে, তা বলতে পারছেন না তিনি।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে কোনও নজর নেই রাজ্য সরকারের। শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রী ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘শিক্ষার করুণ অবস্থান। পড়াশোনা কী ববে এগোবে, সে দিকে মন নেই।’

উল্লেখ্য, হুগলির জিরাটের একটি স্কুলের ছবিও অনেকটা একই রকম। নদীর পাড়ের সেই স্কুলে রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পড়াশোনা করতে আসত পড়ুয়ারা। পরে আদালতের নির্দেশে সেই স্কুল সরানো হয়েছে। আপাতত স্কুল থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে একটি অস্থায়ী ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই চলছে পঠন-পাঠন।