Howrah: মেয়ে মুম্বইয়ে, তিনকুলে কেউ খোঁজ নেয় না, একটা উটকো গন্ধই সামনে আনল বৃদ্ধ-বৃদ্ধার করুণ কাহিনী
Howrah: হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত নন্দীপাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানেই স্ত্রী-র দেহ আগলে বসে রয়েছেন স্বামী।
হাওড়া: উঁটকো গন্ধটা নাকে এসে ঠেকছিল অনেকদিন ধরেই। তবে প্রথমদিকে অতটাও ভ্রুক্ষেপ করেননি এলাকাবাসী। কিন্তু পচা গন্ধটা বাড়তে থাকায় টেকা প্রায় দুষ্কর হয়ে উঠেছিল বাড়িতে। রহস্য ফাঁস হল তখন, যখন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা এলাকায় সার্ভে করতে আসেন। দুর্গন্ধের উৎসস্থলে পৌঁছন তাঁরা। দরজায় কড়া নাড়েন তবে কেউ দরজা না খোলায় বাড়ে সন্দেহ। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশে ঘরে ঢুকতেই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। কারণ…
হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত নন্দীপাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানেই স্ত্রী-র দেহ আগলে বসে রয়েছেন স্বামী। শনিবারের এই ঘটনায় তোলপাড় এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছয় থেকে সাতদিন ধরে হয়ত ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর দেহ আগলে বসে রয়েছেন। কারণ অনেকদিন ধরেই উটকো গন্ধটা তাঁদের নাকে এসে ঠেকছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ওই এলাকায় সার্ভে করতে আসেন। সেখানেই বছর পচাত্তরের তুষার চক্রবর্তীর বাড়িতে দরজা নক করতে গিয়ে দুর্গন্ধ পান। তবে দরজা কেউ খোলেননি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। জগাছা থানার পুলিশ এসে দরজা খুলে দেখেন তুষার বাবু ঘরে বসে রয়েছেন। মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী তপতি দেবীর (৬৭) পচা গলা দেহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অসুস্থ ছিলেন।তুষারবাবু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।তাদের একমাত্র মেয়ে বিবাহিত। তিনি থাকেন মুম্বইয়ে। তুষারবাবুর ভাই নীহারকান্তি চক্রবর্তী বলেন, “আমি মাঝে মধ্যে খোঁজ খবর নিতাম। রোজ আসা সম্ভব হত না। কয়েকদিন আগেও এসেছিলাম। তবে কেউ দরজা খোলেননি। তাই চলে যাই। কিন্তু তখনও বুঝিনি এমন কিছু হবে । আমারও বয়স হয়েছে। সবসময় খোঁজ রাখা সম্ভবও হয় না। ওর মেয়েও খোঁজ রাখে না। আজ শুনি এমন ঘটনা ঘটেছে।”