Suvendu Adhikari: ‘১৩ হাজার ভোট কেটেছেন’, ধূপগুড়ির হারে সেলিমকে নিশানা শুভেন্দুর

Howrah: রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি একেবারে বুথস্তর থেকে সংগঠনকে শক্ত করতে চাইছে। আর সেই লক্ষ্যে তারা জেলায় জেলায় সিপিএমের নীচুতলার কর্মীদের দলে টানতে মরিয়া। বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচিতে একাধিকবার বিজেপি নেতারা এই আহ্বানও জানিয়েছেন।

Suvendu Adhikari: '১৩ হাজার ভোট কেটেছেন', ধূপগুড়ির হারে সেলিমকে নিশানা শুভেন্দুর
সালকিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2023 | 9:53 PM

হাওড়া: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পরাজয়ের দায় সিপিআইএম ও কংগ্রেসের কাঁধে ঠেলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার বাঁধাঘাট মোড়ে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আবারও ‘নো ভোট টু মমতা’র আহ্বান জানালেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। এদিন এক জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “কংগ্রেস, সিপিএম যারা করেন তাঁরা কী করলেন ধূপগুড়িতে? চোর চোর বলেন তৃণমূলকে। কী করলেন? ঈশ্বরচন্দ্র রায় একজন বিশিষ্ট মানুষ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁকে দাঁড় করিয়ে ১৩ হাজার ভোট কেটেছেন।”

এদিনের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাম করে তোপ দাগেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। শুভেন্দু বলেন, “এই পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল যাতে আরও চুরি করতে পারে মহম্মদ সেলিমরা তার ব্যবস্থা করছেন।” নীচুতলার সিপিএম কর্মীদের কাছে শুভেন্দুর প্রস্তাব, তাঁরা যেন বিজেপির হাত শক্ত করতে এগিয়ে আসে। বলেন, “নীচেরতলার কমরেড বন্ধুদের কাছে বলব, তৃণমূলের কাছে মার খেয়েছেন। আপনারা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে নো ভোট টু মমতা বলুন।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি একেবারে বুথস্তর থেকে সংগঠনকে শক্ত করতে চাইছে। আর সেই লক্ষ্যে তারা জেলায় জেলায় সিপিএমের নীচুতলার কর্মীদের দলে টানতে মরিয়া। বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচিতে একাধিকবার বিজেপি নেতারা এই আহ্বানও জানিয়েছেন। শুভেন্দু নিজেই কিছুদিন আগে বলেছিলেন, নীচুতলার সিপিএম, কংগ্রেস কর্মীরা দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোট মানছে না। অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোর চর্চা হয়েছে ‘নন্দকুমার মডেল’ নিয়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে এক সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করছে একজোট হয় স্থানীয় বাম-বিজেপি। তাতে জয়ও আসে। এরপর একাধিক সমবায় সমিতির ভোটে এই মডেল দেখা গিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল বিরোধিতায় এই মডেলে ভর করেই কি কিছুটা শক্তি বাড়াতে চাইছে বিজেপি? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, হতেই পারে।

যদিও বিরোধী দলনেতার বক্তব্য প্রসঙ্গে সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা যা ভোট পেয়েছি তা পেয়েছি। আমাদের আগামীর লড়াই জারি থাকবে। বিজেপিকে জেতানোর দায় তো আমরা নিইনি। বিজেপির এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করি। আর তৃণমূলকে এখানে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব তো বিজেপি, আরএসএস-ই নিয়েছিল।”