Pradhan Mantri Awas Yojana: মাটির বাড়ি, ফুটো টালির চাল, তবুও আবাস যোজনার বাড়ির তালিকা থেকে নাম বাদ দিনমজুরের
Awas Yojana: ২০১৮ সালে আবাস যোজনা প্রকল্পের নাম ছিল। কিন্তু বাদ পড়েছে ২০২২ সালের আবাস প্লাসের তালিকা থেকে।
উলুবেড়িয়া: পেশায় দিনমজুর। সম্বল বলতে রয়েছে মাটির দু’কামরা ঘর। মাথায় টালির ছাউনি দেওয়া। দেওয়াল ফেটে গিয়েছে। বৃষ্টিতে জল পড়ে। ২০১৮ সালে আবাস যোজনা প্রকল্পের নাম ছিল। কিন্তু বাদ পড়েছে ২০২২ সালের আবাস প্লাসের তালিকা থেকে।
উলুবেড়িয়ার ২ ব্লকের জোয়ারগোড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াচক পূর্বপাড়ার ঘটনা। যদিও তদন্তকারী আশা কর্মীর দাবি, আবাস প্লাসে ওই ব্যক্তির নাম রেখেছিলেন তিনি। দিনমজুর দিপু ঘোড়ুই বলেন, “চাষবাসে আবার কখনো কারখানায় শ্রমিকের কাজ করি। স্ত্রী ও এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার। অভাবের সংসার ঘর করতে পারিনি। আমপানে ঘরের একটা অংশ ফেটে গিয়েছিল। সেটাও মেরামত করতে পারিনি। বৃষ্টিতে জল পড়ে। ২০১৮ সালে যখন আবাস যোজনার তালিকা তৈরি হয়। তখন থেকেই দিন গুন ছিলাম কবে ঘর হবে। ২০২২ সালে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যখন সমীক্ষা চালায় তখন তাঁদের ঘরের ভগ্নদশা দিকগুলো ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেখিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এবার বৃষ্টিতে আর জল পড়বে না। কিন্তু পঞ্চায়েতে গিয়ে যখন শুনলাম নতুন তালিকায় নাম নেই, তখনই হতাশ হলাম।”
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনও আশ্বাস দেয়নি। তাই বিডিওর কাছে আবেদন করেছি একটা ঘর দেওয়ার জন্য। কিন্তু কী হবে জানি না।” দিপুর স্ত্রী মৌমিতা বলেন, “আশা দিদিদের ঘরের সবটাই ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলাম। তারপরে তালিকা থেকে নাম বাদ গেল। যে কষ্ট সেই কষ্টই রয়ে গেল।” যদিও যে আশা কর্মী সমীক্ষা করতে গিয়েছিল সেই আশা কর্মী বর্ণালী সিংহ বলেন, “আমরা তালিকায় ওনার নাম রেখেছিলাম। এলাকা সমীক্ষা করে তালিকা তুলে দিয়েছিলাম পঞ্চায়েতে। তারপর কী হয়েছে জানি না।” এই জোয়ার গোরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।