Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে’, হাওড়ায় বাধা পেয়ে ফুঁসছেন সুকান্ত
Sukanta Majumdar: হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তদের। দু’টি স্তরের ব্যারিকেড টেনে পথ আটকায় পুলিশ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না।
হাওড়া: হাওড়া পুরসভার সামনে উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। আহতদের দেখতে যাওয়ার পথে বাধা। তারপরই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সুকান্তকে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ তারিখ রাতে হাওড়া টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন বেলিলিয়াস রোডে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। একটি মিছিল থেকে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, কিছু ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনায় বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন বলে জানা যায়। কারও মাথা ফাটে, হাত ভাঙে। তারপর থেকেই এলাকায় চলছে ১৪৪ ধারা। ওইদিনের ঘটনায় আহতদের দেখতে এদিন সকালে হাওড়ায় যান সুকান্ত।
কিন্তু, হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তকে। দু’টি স্তরের ব্যারিকেড টেনে পথ আটকায় পুলিশ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না। যদিও সুকান্ত বলছেন, “পুলিশ ১৪৪ ধারা তখনই লাগায় যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার মানে এই পুলিশ প্রশাসন স্বীকার করে নিচ্ছে যে ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই ১৪৪ ধারা। এটা নিজেরাই স্বীকার করছে। এই পুলিশ থেকে কী লাভ? পুলিশ সরে যাক না। দেখি তারপর কত বোমা-গুলি আছে। আমরাও নিয়ে আসব প্রয়োজনে।”
যদিও ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কেনও কেউ গ্রেফতার হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন। এবার আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে।” যদিও তাঁদের কোনওভাবেই এলাকায় ঢুকতে দিতে নারাজ পুলিশ। উত্তেজনা গোটা এলাকায়।