AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

South Eastern Railways: ধেয়ে আসছে ‘জাওয়াদ’, শালিমারে রেলের চাকায় বাঁধা হল শিকল, বাতিল একাধিক ট্রেন

Depression: তবে শালিমার ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় শিকল বাঁধার ঘটনা নতুন নয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগমনেও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ট্রেনের চাকা বেঁধে রাখা হয় শিকল দিয়েও।

South Eastern Railways: ধেয়ে আসছে 'জাওয়াদ', শালিমারে রেলের চাকায় বাঁধা হল শিকল, বাতিল একাধিক ট্রেন
রেলের চাকায় বাঁধা হল শিকল, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2021 | 7:14 PM
Share

হাওড়া: আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’। তাই আগেভাগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করল ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে  একাধিক ট্রেন। শালিমার রেল ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের চাকায় বাঁধা হল শিকল। ঝড়ো হাওয়ায় ট্রেন গড়িয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তাই আগেভাগেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হল রেলের চাকা।

দক্ষিণ পূর্বে রেল সূত্রে খবর, আগামী ৩ ডিসেম্বর ও  ৪ ডিসেম্বর রেলের আপ ডিভিশনের ২৭টি ও ডাউনের ২২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যে সমস্ত যাত্রীদের আগে থেকেই আসন সংরক্ষণ করা ছিল, তাঁদের ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা টিকিটের টাকা ফেরত নিতে পারবেন।

দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক নিরজ কুমার জানান ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হবে সে কারনে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ যাওয়া আসার বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে।

তবে শালিমার ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় শিকল বাঁধার ঘটনা নতুন নয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগমনেও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ট্রেনের চাকা বেঁধে রাখা হয় শিকল দিয়েও। যদিও সেইসময়ে রাজ্য লকডাউন চলছিল। বন্ধ ছিল রেলের পরিষেবা। কেবল বিশেষ কিছু ট্রেন চলছিল। এ বার ফের সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি সেই শালিমার ইয়ার্ডেই।

এখন নিম্নচাপ আন্দামান সাগরে রয়েছে। সেটি খানিকটা শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। এটি আজই আন্দামান থেকে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে যাবে। এবং এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুক্রবারের মধ্যে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগরের মধ্য অঞ্চলে থাকবে। শনি-রবিরার এটি উপকূলের দিকে এগোতে থাকবে।

শুক্রবার থেকেই বেশ কয়েকটি জেলা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ৬ জেলায় শনিবার ভারী বৃষ্টি। রবিবার মূল দুর্যোগের আশঙ্কা। এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। কিন্তু সেখান থেকে এটি স্থলভাগে ঢুকে যাবে কিনা, তা সুস্পষ্ট নয়। এক হতে পারে, স্থলভাগে ঢুকে খানিকটা শক্তি হারিয়ে বাংলার দিকে এল। অথবা স্থলভাগে না ঢুকেই সমুদ্র পথ ধরে বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে। ওড়িশার কাছাকাছি আসার পর ঘূর্ণিঝড় একটা ‘টার্ন’ নিতেই পারে। সেখানেই বাংলার জন্য দুঃসংবাদ। কলকাতা-সহ ৭ জেলায় অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে। ওই দিন সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগেও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবছর আন্দামান ও বঙ্গোপসাগরে বারবার নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যদি নিম্নচাপ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে,তাহলে শক্তি বৃদ্ধি করবেই। এক্ষেত্রেও সেটি হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভাও। আপাতত ৭৬ টি পাম্পিং স্টেশনকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। পোর্টেবল পাম্পিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।

আরও পড়ুন: TMC Clash in Sitai: সকালে ভাঙা হয়েছিল সভামঞ্চ, বিকেলে দলীয় বিধায়কের সভাতেই ‘উদয়নগোষ্ঠীর’ বোমাবাজি!