Elephant Attack: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬০টি হাতি, উৎসুক জনতার ভিড় চোখে পড়ার মতো
Elephant Attack: বস্তুত, শনিবার রাতে ওই এলাকায় তিস্তার চরে এক মহিলাকে পিষে মেরে ফেলে হাতি। সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই রবিবার এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি: তিস্তা পাড়ে প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাটটি হাতির দল। এলাকায় অবাধে বিচরণ করছে তারা। সাবার করে দিচ্ছে একের পর এক বাদাম, ভুট্টা, কুমড়ো ও শাক-সবজি। বুনো হাতির দল দেখতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। দলে একদিকে যেমন রয়েছে পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল পাশাপাশি তাদের সঙ্গে ছানাও রয়েছে। দলটি গত দু সপ্তাহ ধরে ওই তিস্তার চড়ে ঘুরে বেরাচ্ছে।
বস্তুত, শনিবার রাতে ওই এলাকায় তিস্তার চরে এক মহিলাকে পিষে মেরে ফেলে হাতি। সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই রবিবার এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। কৌতূহলি ব্যক্তিরা হাতির দলটিকে দেখতে দুরদুরান্ত থেকে এসে ভিড় জমাচ্ছেন ওই এলাকায়। হাতি দেখতে আসা জলপাইগুড়ির কুকুরজানের বাসিন্দা হরি রায় বলেন, “সোস্যাল মিডিয়ায় দেখলাম হাতির দল এই এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরে বেরাচ্ছে। তাই দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে হাতি দেখতে এসছি।”
কৃষক নির্মল রায় বলেন,”এখনো এই এলাকায় বাদাম,ভুট্রা,মিষ্টি কুমড়ো জমিতে আছে। এরা প্রতিদিনই কিছু ফসল খাচ্ছে আর বাকিটা চলা ফেরায় নষ্ঠ হচ্ছে বলে জানান তিনি।”
এলাকার বাসিন্দা মলয় রায় বলেন, “এই এলাকার বিশেষ করে বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের গৌরীকোণ বিট সংলগ্ন এলাকার দেওনিয়া পাড়া ,বসুনীয়াপাড়া, রংধামালী প্রভৃতি এলাকায় হাতির দলটি অবাধে ঘুরে বেরাচ্ছে। এতে যেমন এলাকার ফসল নষ্ঠ করছে। তেমনি অনেকেই পরিবারের সদস্যদের হারাচ্ছেন। এখানকার মানুষ কৃষিজীবী। আমরা চাই হাতির দলটি যাতে এই এলাকায় অবাধ বিচরণ করতে না পারে৷ তার ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে প্রচুর ফসলও বাঁচবে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাতির দলটি যাতে লোকালয়ে না আসে তার জন্য নজরদারি চালাতে বনকর্মীরা সেখানে রয়েছে।