Jalpaiguri: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা, ঘাসফুল ছড়ে পদ্মে যোগ প্রধান সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের
Jalpaiguri: সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে বিধানসভার বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিজ্ঞার উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চলে যোগদান পর্ব।
জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে দিকে দিকে সমবায় সমিতির নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। আসছে বড় জয়। তবে গলার কাঁটার মতো অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের নানা প্রান্তের গোষ্ঠী কোন্দল। এরইমধ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা। বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কালিপদ রায় ও এক পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ১০০ জন তৃনমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন।
সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে বিধানসভার বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিজ্ঞার উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলে যোগদান পর্ব। প্রধান কালিপদ রায়ের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন মনোজ টিজ্ঞা ও বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোষ্মামী।
বাপি গোষ্মামী বলেন, “তৃনমূলের যা পরিস্থিতি তাতে ওই দলে কোন ভদ্র লোক থাকতে পারেন না। তাই ওই পার্টি ত্যাগ করে সাধারন মানুষের স্বার্থে এবং উন্নয়নের স্বার্থে কালিপদ রায় তার লোকজনদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন।” প্রধান কালিপদ রায় জানান, তিনি বহু দিন ধরেই তৃণমূলে ছিলেন। শুধু তাই নয় ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত অঞ্চল সভাপতির পদও সামলান। এছাড়া ধূপগুড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল দলের মধ্যে যা চলছে তাতে সুস্থ অবস্থায় ওই কেউ দল করতে পারেনা। তাই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির হাত ধরলেন।
অন্যদিকে ঘুরিয়ে কালীপদর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি। তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “কালিপদ দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ধরে পঞ্চায়েতে যেতেন না। ওটা বাটপার প্রধান ছিল। এতে আমাদের দলের কোনও সমস্যা হবেনা।” এদিকে ভোটের মুখে একযোগে এত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকদের দল ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।