Jalpaiguri : বাঁশ বোঝাই লরির আড়ালে পাচারের ছক, বন দফতরের তৎপরতায় উদ্ধার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক
Jalpaiguri : বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার বিকেলে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে গোপন সূত্রে পাচার সংক্রান্ত একটি খবর আসে। তারপরই শুরু হয় নাকা চেকিং।
জলপাইগুড়ি : পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে ফের একবার বড়সড় সাফল্য পেল বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের (Forest Department) বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। পাচারের আগে উদ্ধার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক (Burma ticks worth about 50 lakh rupees)। গ্রেফতার ৩ পাচারকারী। কয়লা, মিষ্টি কুমড়োর পর এবার বাঁশ বোঝাই লড়ির আড়ালে পাচার হচ্ছিল বার্মা টিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত ও তাঁর টিম। আটক করা হয় একটি ১৬ চাকার লরি। উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার বিকেলে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে গোপন সূত্রে পাচার সংক্রান্ত একটি খবর আসে। তাতেই তিনি জানতে পারেন অসম থেকে কলকাতায় বিপুল পরিমাণ কাঠ পাচার করা হচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পানিকৌড়ি এলাকায় শুরু হয় নাকা চেকিং। নির্দিষ্ট নম্বরের একটি গাড়ি আসতেই সেটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন বনকর্মীরা। কিন্তু, তল্লাশির সময় দেখা যায় লরিটে প্রচুর বাঁশ তোলা রয়েছে। তা দেখে শুরুতে খানিকটা আশাহত হয়ে পড়েন কর্মীরা। এরপর সঞ্জয় দত্তর নির্দেশে বাঁশ সরিয়ে ভালো করে তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে থরে থরে সাজানো বার্মা টিক। সাথে সাথে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় গাড়িতে থাকা ৩ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় লরিটিকে।
ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে কাঠগুলি অসম থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিন পাচারকারীর মধ্যে প্রেম সিং এবং ইমরান, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। চাহাজুল ইসলাম অসমের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতদের সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে বলে খবর। তবে এই প্রথম নয়, বিগত কয়েক মাসে জেলার নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার উদ্ধার হয়েছে বার্মা টিক। সবই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাচারের উদ্দেশ্যে।