DA Agitation : ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর তৃণমূল নেতার
DA Agitation : সুনিতিবালা সদর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধ FIR জলপাইগুড়ি তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের। উত্তাল জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহল।
জলপাইগুড়ি : ১০ মার্চ ধর্মঘট পালন করায় এবার সরাসরি এফআইআর। সুনিতিবালা সদর গার্লস হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধ FIR জলপাইগুড়ি তৃণমূলের (Trinamool Congress) শিক্ষক সংগঠনের। একইসঙ্গে মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনরত প্রধান শিক্ষিকাকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার (Trinamool Leader) বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অঞ্জন দাসের। ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ বিজেপি-সহ সমস্ত বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগে দায়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাসের। ঘটনার নিন্দা করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক তৃণমূল নেত্রীও। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) শিক্ষা মহলে।
জানা গিয়েছে, মহার্ঘভাতার দাবিতে শুক্রবার যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছিল জলপাইগুড়ি সুনীতি বালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ে। স্কুলের গেট বন্ধ থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস। গেটের কিছুটা দূরে দাড়িয়ে ছিলেন ধর্মঘট সমর্থকেরা। অভিযোগ সেইসময় আচমকা স্কুল গেটে আসেন অঞ্জন দাস। এসেই হম্বিতম্বি শুরু করে দেন তিনি। ধর্মঘট সমর্থকদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে তাঁর। অভিযোগ, এরপরই প্রধান শিক্ষিকাকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতা অঞ্জন দাস। প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। শনিবার সন্ধ্যায় অঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জলপাইগুড়ি সুনীতিবালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন অঞ্জন দাস। তাতেই উল্লেখ করেছেন সুতপা দাসের বনধ সমর্থমের কথাও। অপরদিকে ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি কদম তলায় প্রতিবাদ সভা করল যৌথ মঞ্চ। ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, “সেদিন আমরা অনেকেই স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচমকাই অঞ্জন বাবু আসেন। এরপর আমাদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করেন। আমাকে বলেন নষ্টামি না করে স্কুলে যান। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে আরও অনেক কটূ কথা বলেন তিনি। বিষয়টি আমি থানায় জানিয়ে গেলাম।”
তৃনমূল নেত্রী শান্তনা সরকার ওই স্কুলের শিক্ষিকা। ঘটনার সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁর স্পষ্ট দাবি, এই ধরনের কথা বলার জন্য অঞ্জনবাবুর ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তৃনমূল শিক্ষক নেতা অঞ্জন দাসকে সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “যেদিন জলপাইগুড়িতে সিবিআই ঢুকবে সেদিন অঞ্জন দাসের বাইরের হাওয়া বাতাস খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।”
অঞ্জন দাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষে আমি জলপাইগুড়ি জেলার জয়েন কনভেনার। সুনীতিবালা সদর বালিকা স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক ভেনু রয়েছে। আমি শুক্রবার স্কুলে ভেনু পরিদর্শন করতে যাই। সেখানে আমি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ যৌথ মঞ্চের সদস্যদের কাছ থেকে বাধা পাই। আমাকে শারিরীক নিগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি কোতোয়ালি থানার অভিযোগ দায়ের করেছি।”