Flood Control Room: বর্ষা ঢুকতেই সতর্ক সেচ দফতর, খোলা হচ্ছে সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম
Monsoon: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলিয়ে দিয়ে ইতিমধ্যে পাহাড় এবং সমতলের জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এবং নদীগুলির জলস্ফীতি পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতি বছরের মতো সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম খুলছে জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি: এ বছর সাতদিন আগেই বর্ষাগমন হয়েছে বঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের সর্বত্র বর্ষার প্রবেশ হয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও ঢুকেছে বর্ষা। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরে ১ জুন থেকেই খুলে দেওয়া হচ্ছে সেচ দফতরের সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম। উওর পূর্ব সেচ এবং জলপথ দফতরের আধিকারিক তথা মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক এই তথ্য দেন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলিয়ে দিয়ে ইতিমধ্যে পাহাড় এবং সমতলের জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এবং নদীগুলির জলস্ফীতি পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতি বছরের মতো সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম খুলছে জলপাইগুড়িতে।
গত বছর সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে সিকিমে ভারী বর্ষণ হয়। লোনাক লেক ভেঙে জল নেমে এসে বিপর্যয় ঘটায় তিস্তা পারে। সেইসময় নদীতে প্রচুর পলি ও বালি এসে তিস্তা নদীগর্ভ ভরে যায়। ফলে এবার অল্প বৃষ্টিতেও প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি রেমালের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়েছে।
সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “১ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে। প্রতি বছরই তাই হয়। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকে সাধারণত। সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। বর্ষা সবেমাত্র প্রবেশ করেছে। এখনই তিস্তা বা জলঢাকার মতো নদীগুলির ক্ষেত্রে উদ্বেগের কিছু নেই। তবে আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত। ভোটের জন্য কিছুটা মন্থর হয়ে গিয়েছে। তবে কাজ চলছে।”