TMC: পুলিশি হেফাজত হতেই ‘বিজেপির চক্রান্তের’ তত্ত্ব যুব তৃণমূল নেতার মুখে

TMYC Leader: আদালত চত্বর থেকে যখন পুলিশ সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানালেন, তিনি চক্রান্তের শিকার এবং আইনি লড়াই চলবে। বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন তিনি। যদিও সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের এই চক্রান্তের অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে বিজেপি শিবিরও।

TMC: পুলিশি হেফাজত হতেই 'বিজেপির চক্রান্তের' তত্ত্ব যুব তৃণমূল নেতার মুখে
কোর্ট চত্বরে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2023 | 9:25 PM

জলপাইগুড়ি: এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আজ সকালেই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। নতুন করে জামিনের আবেদন করতে চান সৈকতবাবু। সিজেএমের এজলাসে সেই আবেদন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো দুপুর তিনটে নাগাদ সিজেএমের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। এদিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় নিজেই আত্মপক্ষে সওয়াল করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিচারক সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৮ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

এদিকে আদালত চত্বর থেকে যখন পুলিশ সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানালেন, তিনি চক্রান্তের শিকার এবং আইনি লড়াই চলবে। বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন তিনি। যদিও সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের এই চক্রান্তের অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে বিজেপি শিবিরও। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর বক্তব্য, “আদালতে বিচারক, বিচারপতিরা রয়েছেন। তাঁরা নিজেদের মতো কাজ করছেন। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। বিচার ব্যবস্থা যা বলবে, আমরা তা পালন করব। এছাড়া উনি কী করেছেন, তা সকলেই জানে। সেই কারণেই তিনি জামিন পাননি, পুলিশি হেফাজত হয়েছে। আমরা আশা রাখব, অভিযুক্তের সঠিক সাজা হবে।”

উল্লেখ্য, এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত সুবোধ ভট্টাচার্য এবং অপর্ণা ভট্টাচার্যের গত এপ্রিলে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এই সমাজকর্মী দম্পতি সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। ভাই ও ভাইয়ের বউ। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে সৈকতবাবু-সহ মোট চারজনের নাম। প্রসঙ্গত, সৈকত চট্টোপাধ্যায় এর আগে রক্ষাকবচের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল।