Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPIM: ঘর ছাড়াদের পাশে খাবার হাতে সরকারি কর্মচারীরা, তৃণমূল বলছে নাটক

CPIM: ১২ জুলাই কমিটির জলপাইগুড়ি জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক বাণীব্রত সাহা বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সারা রাজ্যে সিপিএমের হয়ে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং যারা সমর্থন ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তাঁদের উপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীরা।

CPIM: ঘর ছাড়াদের পাশে খাবার হাতে সরকারি কর্মচারীরা, তৃণমূল বলছে  নাটক
কর্মীদের পাশে সিপিএমImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2023 | 10:19 AM

রাজগঞ্জ: ভোট পরবর্তী হিংসার পর থেকে ঘরছাড়া প্রায় শতাধিক সিপিএম কর্মী। পরিবারগুলি উপার্জন করার লোক না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছে পরিবারগুলির মহিলা সদস্যরা। এদের মধ্যে আবার অনেকেই গর্ভবতী। দলীয় সেই কর্মীদের এবার পাশে দাঁড়ালেন সরকারি কর্মচারীরা।

সম্প্রতি ওই এলাকায় দেখা করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। পরে ওই গ্রামগুলিতে গিয়েছিলেন সিপিএমের মহিলা সমিতির সদস্যারা। তাঁদের কাছে অসহায় অবস্থার কথা জানিয়েছিল পরিবারগুলি। তাদের অসহায় অবস্থার কথা সামনে আসতেই এবার তাঁদের পাশে এসে দাড়ালো বামপন্থী সরকারি কর্মচারি সংগঠন ১২ই জুলাই কমিটি। বুধবার বিকেলে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে ঘর ছাড়া সিপিএম কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদের হাতে চাল ডাল সহ বিভিন্ন সুষম খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্র তুলে দেন দেন সংগঠনের নেতৃত্বরা।

১২ জুলাই কমিটির জলপাইগুড়ি জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক বাণীব্রত সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সারা রাজ্যে সিপিএমের হয়ে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং যারা সমর্থন ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তাঁদের উপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীরা। একই ঘটনা ঘটেছে রাজগঞ্জের জুম্মাগছে। ঘরবাড়ি সহ জিনিসপত্র চুরমার করে দিয়েছে। যারা আক্রমণের শিকার হয়েছে, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করেছে। ভয়ে প্রায় ১০০ কর্মী সমর্থক এখনো ঘর ছাড়া। তাঁদের মধ্যে অসহায়দের কিছু খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হয়। অবিলম্বে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”

যদিও, ১২ জুলাই কমিটির কর্মসূচিকে কটাক্ষ করলেন যুব তৃণমূলের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি শেখ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, “সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েতে কোনও অশান্তি হয়নি। সেখানকার মানুষ সিপিএমকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূলকে দু’হাতে আশীর্বাদ করেছে। তাই এই অঞ্চলে বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল। এখন পায়ের নিচে মাটি সরে গিয়েছে। সেই কারণে এই নাটক করছে তৃণমূল।”