Jalpaiguri: পুলিশ নিষ্ক্রিয়, মুখ্যমন্ত্রীকে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিলেন ভুয়ো নার্সিং কলেজের পড়ুয়ারা
Jalpaiguri: পড়ুয়াদের তরফে বুধবার অভিযোগ করা হয়, কয়েকদিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের মালিক শর্মা দম্পত্তিকে গ্রেফতার করছে না। তাই তারা এবার মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হলেন।
জলপাইগুড়ি: কাজ করছে না পুলিশ। বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের প্রতারিত পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন তাঁরা।
কাগজপত্র না থাকার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দিশারী নামক ভুয়ো নাসিং ট্রেনিং স্কুলে অভিযান চলে। এরপর সেই স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসেন ছাত্র ছাত্রীরা। তাঁরা দারস্থ হন জলপাইগুড়ি জেলাশাকের কাছে। জেলাশাসক শামা পারভিনের নির্দেশ মতো তাঁরা কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পড়ুয়াদের তরফে বুধবার অভিযোগ করা হয়, কয়েকদিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের মালিক শর্মা দম্পত্তিকে গ্রেফতার করছে না। তাই তারা এবার মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হলেন। গতকাল তাঁরা ডাক ও ইমেল মারফৎ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠায়। পাশাপাশি ওই চিঠির প্রতিলিপি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলা পুলিশ সুপার কেও দিয়েছেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তর খোঁজে জেলাজুড়ে চলে তল্লাশি।
এখানেই থেমে থাকেননি তাঁরা। ছাত্রীরা শহরের দর্জিপাড়া এলাকায় থাকা শান্তনু শর্মার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে গিয়ে চড়াও হন। কিন্তু ফ্যাল্ট তালাবন্ধ থাকলেও ভিতরে দড়জা খোলা অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। এরপর পুলিশের কাছে যেতেই ছুটে আসে আধিকারিকরা। অনেক্ষণ গ্রিল ধরে ঝাঁকালেও কোনও সারা না পাওয়ায় পুলিশ চলে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া এলাকায় দিশারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল খোলেন ময়নাগুড়ি নিবাসী শান্তনু শর্মা। এরপর থেকে ওই স্কুলে মোটা টাকার বিনিময়ে ভর্তি হতে থাকে ছাত্র ছাত্রীরা। করোনাকালে শহরের আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন পরিষেবা দেন শর্মা দম্পত্তি। এরপর তাঁরা ‘অক্সিজেন দম্পতি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। অভিযোগ এই সমাজসেবামূলক কাজকে হাতিয়ার করে দ্রুত গতিতে বেড়ে ওঠে দিশারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল।
আন্দোলনকারি ছাত্রী পিঙ্কি রায়,ইয়াসিনা বেগমেরা জানিয়েছেন, তার বেশ কিছুদিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু স্কুলের মালিক শর্মা দম্পত্তিকে কিছুতেই গ্রেফতার করছে না । তাই তারা একপ্রকার বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খন্ডবাহালে জানিয়েছেন, পুলিশ বসে নেই। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নিদৃষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি জারি আছে।