ভরা গ্রীষ্মে কুয়াশায় ভরা গোটা শহর! ঘুম থেকে উঠে চমকে গেলেন সবাই

শুধু কুয়াশা নয়, বৈশাখের শেষবেলায় ঠাণ্ডায় কাঁপছিলেন বলেও জানিয়েছেন বাসিন্দারা। সোমবার সকালে এমনই দৃশ্য দেখা যায় ধূপগুড়িতে।

ভরা গ্রীষ্মে কুয়াশায় ভরা গোটা শহর! ঘুম থেকে উঠে চমকে গেলেন সবাই
ধূপগুড়িতে কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 8:22 AM

ধূপগুড়ি: সকালে ঘুম থেকে উঠেই হতবাক গোটা শহর। ভরা গরমে সাত সকালে কুয়াশা! এ কেমন দৃশ্য? এমনিতেই মহামারীর কালে চারপাশে আতঙ্কের খবর। তার মধ্যে এই আজব দৃশ্য দেখে চমকে যান অনেকেই। সোমবার সকালে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী রইল ধূপগুড়িবাসী।

গরম কালে মূলত এই ধরনের আবহাওয়া আগে কখনই দেখেননি শহরবাসী। এমনটাই দাবি তাঁদের। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে সামান্য দূরের বস্তুকে খালি চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক, এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ সবটাই এ দিন কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে শহরের রাস্তায় বেরতে হয় চালকদের। এভাবে গ্রীস্মের সকালে কুয়াশার চাদরে শহরকে ঢাকতে দেখে হতবাক সকলেই।

ধূপগুড়ির বাসিন্দা সনাতন দাস বলেন, ‘গরমকালে এ ধরনের কুয়াশা আমি জন্মেও দেখিনি। সকালে প্রবল কুয়াশা ছিল। সকাল সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ধুপগুড়ির জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক, এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ সমস্তটাই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে যখন বেরিয়ে ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়তো শুধুমাত্র রাস্তাতেই কুয়াশা হবে। কিন্তু বাজারে এসে দেখি চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন।’ হাফহাতা একটি টি-শার্ট পরে রীতিমতো ঠাণ্ডায় কাঁপছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘মনে হচ্ছে যেন শীত বস্ত্র গুলো ঘর থেকে আবারও বের করতে হবে। এর আগে এরকম সময় কখনও এতটা কুয়াশা দেখিনি।’

কেন এমন কুয়াশা? পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক গুনময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কুয়াশার দাপট এই সময় কখনও লক্ষ্য করা যায় না এটা অবাক করার মতো একটি দৃশ্য। গতবার দেখেছিলাম লকডাউনে পরিবেশ নিজের ভারসাম্য ফিরে পেতে শুরু করেছিল সেই সময়। যার ফলে ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ির মতো বিভিন্ন জায়গায় থেকে আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেয়েছিলাম। সম্ভবত, এখনও তারই সুফল মিলছে।’ তাঁর মতে, আরও একটি কারণ হতে পারে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। জলীয় বাষ্প অনেক বেশি ছিল এই এলাকায়। এখন দূষণ অনেকটাই কমেছে, তাই এইসময়ে আচমকাই কুয়াশা হয়েছে।