Jyotipriya Arrest: ED হেফাজতে মন্ত্রী, ফসল খেয়ে যাচ্ছে হাতি, নজরই নেই বনদফতরের

Elephant Attack: ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় লোকালয়ে এসে দাপাচ্ছে হাতির দল। নষ্ট করছে ফসল। হানা দিচ্ছে বাড়ির ভিতরে। সূর্য ডুবতেই কার্যত দাঁতালের ভয়ে বাড়ির ভিতরে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Jyotipriya Arrest: ED হেফাজতে মন্ত্রী, ফসল খেয়ে যাচ্ছে হাতি, নজরই নেই বনদফতরের
হাতির দাপট জলপাইগুড়িতেImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2023 | 12:03 PM

জলপাইগুড়ি: লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি। কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকায়। কিন্তু কোথায় বন দফতর? রেশন দুর্নীতির অভিযোগ বনমন্ত্রী ইডি হেফাজতে যেতেই অভিভাবকহীন দফতর। পরিবেশ প্রেমী থেকে বিরোধীরা! সকলের একই অভিযোগ, বনমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ঢিলেঢালা নজরদারি বনকর্মীদের।

ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ির ডুয়ার্স। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় লোকালয়ে এসে দাপাচ্ছে হাতির দল। নষ্ট করছে ফসল। হানা দিচ্ছে বাড়ির ভিতরে। সূর্য ডুবতেই কার্যত দাঁতালের ভয়ে বাড়ির ভিতরে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।এ দিকে, বন দফতরের কর্মীদের ফোন করলে তাঁরা নাকি ফোন ধরেন না। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামবাসীর অভিযোগ, হাতি বেরনোর খবর পাওয়ার পরও তাঁরা আসতে চান না। ফলত, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হাতি তাড়াতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এবার হাতি যাতে ঢুকে না পড়ে সেই কারণে চাষের ক্ষেতে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হচ্ছে, যার ফলে মৃত্যু হচ্ছে হাতিরও।

এই বিষয়ে জেলা বনাধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তাহলে কি বনমন্ত্রী ইডি দফতরে যেতেই ঢিলেঢালা নজরদারি বনদফতরের? এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “সরকার হাতির খাবারের কোনও ব্যবস্থা করছে না। আগের সরকার হাতির খাবারের ব্যবস্থা করত। বিভিন্ন জঙ্গলে তাদের খাবার দেওয়া হত। কিন্তু এখন সেই সব কিছুই হয় না।”

ন্যাসের কর্মকর্তা নফসর আলি বলেন, “এখন ধান পাকার সময়। লোকালয়ে বারবার হাতি চলে আসছে। কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে কোথাও হাতি মারা যাচ্ছে। আর এই নিয়ে যখন বনদফতরকে খবর দেওয়া হয় তখন তারা আসতে দেরি করেন। আবার আসেও না। দুজায়গায় হাতি বেরলে এক জায়গায় যায়। বনদফতর অজুহাত দেয় ওদের গাড়ি নেই, নয়ত তেল নেই। আর যবে থেকে বনমন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন তবে থেকে আমাদের মনে হচ্ছে ওদের কাজে গাফিলতি তৈরি হয়েছে। তাই আমাদের আবেদন ফরেস্ট অফিসাররা যেন একটু তৎপর হন।” বিজেপি নেতা চন্দন দত্তর অভিযোগ, “যে দফতরের মন্ত্রী জেলে সেই দফতর চলবে কীভাবে? আর মুখ্যমন্ত্রীর সব মন্ত্রীরা আগামী দিনে তো জেলে থাকবেন। তখনও ওরা ওইখানে বসেই মন্ত্রীসভা চালাবেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে বলেই এত বেপরোয়া বনদফতরের কর্মীরা।”