Jalpaiguri: মোবাইলই নেশা, মা দু ঘা দিতেই আর খোঁজ মিলছে না উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়ার
Jalpaiguri: এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন মজরিন। কিন্তু, মেলেনি খোঁজ। ছেলে ছবি বুকে আকড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরঠেন মজরিন। বাজার থেকে পথ চলতি মানুষকে ছেলের ছবি দেখিয়ে করছেন খোঁজ।

জলপাইগুড়ি: মোবাইল গেমে আসক্ত। মা বকুনি দিতেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। জলপাইগুড়ি কামার পাড়ার বাসিন্দা মজিরন খাতুন। তাঁর ছেলে সোহেল হোসেন। সেই সোহেলরই খোঁজ মিলছে না আর। বাড়িতে আর্থিক অনটন। অনেক কষ্টে ছেলে কষ্টের টাকা খরচ করে ছেলেকে পড়াচ্ছেন মজরিন। পড়াশোনা চলছিল জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। সদ্য সোহেলের উচ্চমাধ্যমিক শেষ হয়েছে। এদিকে পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই দিন-রাত মোবাইলে বুঁদ। বারবার বলার পরেও কোনও কাজ হয়নি। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ছেলেকে বকুনি দেন মজরিন। তারপর থেকেই তার আর খোঁজ মিলছে না।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন মজরিন। কিন্তু, মেলেনি খোঁজ। ছেলে ছবি বুকে আকড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরঠেন মজরিন। বাজার থেকে পথ চলতি মানুষকে ছেলের ছবি দেখিয়ে করছেন খোঁজ। চোখে জল নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরেরও শরনাপন্ন হয়েছেন।
মজিরন খাতুন বলেন, ছেলে সারাক্ষন মোবাইল গেম খেলে। বারণ করলেও শোনে না। রাগ করে দু ঘা দিয়ে বলেছিলাম বাড়ি থেকে চলে যা। তারপর থেকে আর ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। এরপর থানায় মিসিং ডায়েরি করেছি।
প্রাক্তন কাউন্সিলর নিপু শা বলেন, এখন ছোট বাচ্চারা মোবাইলে খুবই আসক্ত। মাঠে না গিয়ে মোবাইলে গেম খেলা এখন সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি আমরাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।





