Bangladeshi Refugees: ‘আমি চাই বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের দেশে জায়গা দেওয়া হোক’, বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক
Bangladeshi Refugees: সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই অত্যাচারিত হিন্দুদের শরণার্থী হিসাবে স্বীকার করে আশ্রয় দিচ্ছে না তা আমি বলতে পারব না। কারণ, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি নই।
জলপাইগুড়ি: ‘বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দু শরনার্থীদের আশ্রয় দিতে পারলে নিজেকে গর্বিত মনে করব’। সাংবাদিক সম্মেলন এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তা নিয়েই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অস্থিরতার আবহে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় উদ্বেগ বেড়েছে ভারতে। সীমন্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। এমতাবস্থায় সে দেশের ‘অত্যাচারিত’ হিন্দুদের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই অত্যাচারিত হিন্দুদের শরণার্থী হিসাবে স্বীকার করে আশ্রয় দিচ্ছে না তা আমি বলতে পারব না। কারণ, আমি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি নই। তবে আমি চাই এদের আশ্রয় দিতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সংযুক্তির পক্ষে জোরালো দাবিও করেন। যে দাবিতে কয়েকদিন আগেও সরব হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বঙ্গ রাজনীতিতে উঠেছিল ঝড়। বাংলা ভাগের যড়যন্ত্র হচ্ছে বলে গন্ধ পেতে শুরু করেছিল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে বাংলাদেশে তৈরি হয়ে গিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। মাথায় রয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। এ ছাড়াও ১৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন দুই ছাত্র নেতাও। কিন্তু অশান্তি থামছে না ওপার বাংলায়। হাসনি দেশ ছাড়তেই সে দেশের সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দুদের উপর লাগামহানী অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ঘরে ছেড়ে ভারত সীমান্তে ছুটে এসেছেন বহু মানুষ। তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ। দ্রুত যাতে হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে বুধবার রাতেই ইউনুসকে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)