Elephant: শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে সেপ্টিসেমিয়া, হলুদ গুঁড়ো লাগিয়ে চিকিৎসা চলছে নাগরাকাটার অসুস্থ হাতির
Elephant: তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, হাতিটি ইনফাইটিং করার সময় তার পা ভেঙে গিয়েছে।
নাগরাকাটা: ডুয়ার্সের নাথুয়া জঙ্গলে অসুস্থ বুনো হাতিটির শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। শনিবার তার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বন দফতর। শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) অরণ্য ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর ও অন্যান্য আধিকারিকেরা।
উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর জানান, হাতিটির শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে। এখন আর দাঁড়াতে পারছে না সে, তাই বসে পড়েছে। শুক্রবার তাকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। স্যালাইন, অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি তার ক্ষতস্থানে হলুদ গুঁড়ো লাগিয়ে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে তার স্বাভাবিক ভাবে ইউরিন পাস না হওয়ায় মূত্র থলি ফুলে গিয়েছিল। ক্যাথিডার লাগিয়ে জমে থাকা ইউরিন বের করছেন চিকিৎসকেরা। তার শরীরে সেপ্টিসেমিয়া আরও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা দিয়েছে।
চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি হলুদ গুঁড়ো লাগিয়ে দিচ্ছেন, কারণ হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। অপরদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, হাতিটি ইনফাইটিং করার সময় তার পা ভেঙে গিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে আরও কয়েকবার অন্য বুনো হাতি আক্রমণ করেছে। কিন্তু অসুস্থ হাতিটিকে বনকর্মীরা দেখার পর থেকেই তার লাগাতার চিকিৎসা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু হাতিটির ওজন ৪ টনের বেশি তাই তাকে দাঁড় করিয়ে পিছনের পায়ে প্লাস্টার করা কার্যত অসম্ভব। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ চিকিৎসকেরা। তারা যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নাগরাকাটার প্রায় এক মাস ধরে পড়ে ছিল ওই অসুস্থ হাতিটি। অসহায় অবস্থায় নদীর পাড়ে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে ছিল সে। সারাদিন হাতিটি গাছে শরীর হেলিয়ে গাছে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করছিল। হাতিটির শরীরের পিছনের অংশের ক্ষতস্থানে পোকা ধরে গিয়েছে, তা থেকে পচন ধরতেও শুরু হয়েছে। হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে সে।