Jalpaiguri: সাধের রাতেই অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, আটক স্বামী
Jalpaiguri: এরপর সোমবার রাতে মেয়েটি তাঁর বারার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। বাপের বাড়ির সদস্যরাই প্রিয়াঙ্কাকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অনেকটা দেরি হয়ে যায়।
জলপাইগুড়ি: ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ি রামশাই এলাকায়। ময়নাগুড়ি হাসপাতালে সোমবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর। মৃতের নাম প্রিয়াঙ্কা রায় ২০। জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে রামশাই এলাকারই বাসিন্দা বিশ্বদেব রায় নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ বিয়ের পর থেকে মেয়েটিকে নানান কারণে অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হত বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।
গত রবিবার প্রিয়াঙ্কার সাধ ছিল। অভিযোগ, সেদিন রাতেও তাঁকে মারধর করা হয়। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারাও চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান। অভিযোগ, স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লেও, তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যাননি তাঁর স্বামী।
এরপর সোমবার রাতে মেয়েটি তাঁর বারার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। বাপের বাড়ির সদস্যরাই প্রিয়াঙ্কাকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অনেকটা দেরি হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সবটা শেষ। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে প্রিয়াঙ্কার।
এরপর ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হবার পর প্রিয়াঙ্কার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পাঠায়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী বিশ্বদেব রায়কে আটক করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা পলাতক। এখনও পর্যন্ত তাঁদের পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।