Jalpaiguri Snakeহাসপাতালে বেডের নীচে, ওষুধের টেবিলে ‘রাউন্ড’ মারছে ৭ ফুট লম্বা সাপ! আত্মারাম খাঁচা ছাড়া রোগীদের
Jalpaiguri Snake: এক রোগীর আত্মীয় প্রসূতি বিভাগে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় দরজার সামনে সাপ এবং বেড়ালটিকে মুখোমুখি বসে থাকতে দেখেন। ভয়ে চিৎকার জুড়ে দেন ওই মহিলা। ছুটে যায় ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।
ধূপগুড়ি: হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ অবাধ বিচরণক্ষেত্র। বেডের পা বেয়ে কখনও ফণা তুলছে, কখনও ফ্লোরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রসূতি বিভাগে কুকুর-বিড়ালের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু একে দেখে তো কুকুর বিড়ালও ভয়ে কাঁটা! প্রসূতিদের শরীর দিয়ে বয়ে গিয়েছে হিমস্রোত। প্রসূতি বিভাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুরে বেড়াল সাত ফুটের সাপ। বেডের ওপর পা তুলে বসে রইলেন রোগীরা। চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই ভয়ে কাঁটা। হলুস্থূল কাণ্ড ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। আতঙ্কে ওয়ার্ড ছেড়ে হাসপাতালের বাইরে পালালেন অনেক রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা। ঘড় ছাড়লেন চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীও।
সোমবার রাতে হাসপাতালের ভেতরে প্রসূতি বিভাগ এবং সাধারণ পুরুষ বিভাগের মাঝে প্রথম সাপটিকে দেখতে পান এক রোগীর আত্মীয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। সেই সময় সকলেই ব্যস্ত ছিলেন ওয়ার্ডে রোগী দেখার কাজে।
এক রোগীর আত্মীয় প্রসূতি বিভাগে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় দরজার সামনে সাপ এবং বেড়ালটিকে মুখোমুখি বসে থাকতে দেখেন। ভয়ে চিৎকার জুড়ে দেন ওই মহিলা। ছুটে যায় ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। ছুটে যান নার্স ও চিকিৎসকরা। ভয়ে হুলুস্থূল পড়ে যায় হাসপাতালে সমস্ত বিভাগে। সঙ্গে সঙ্গে প্রসূতি বিভাগ, শিশু ওয়ার্ডের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কে ঘরের মধ্যে ছোটাছুটি করতে থাকেন। ওয়ার্ড ছেড়ে অনেকেই বাইরে পালিয়ে যান। অনেকে আবার সেই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতে থাকেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবস্মিতা চক্রবর্তী খবর দেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে। খবর দেওয়া হয় সর্প বিশারদকেও। এর পর ‘ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার্স অর্গানাইজেশনের’ সদস্যরা হাসপাতালে যান। প্রায় সাত ফুট লম্বা সাপটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। সাময়িকভাবে আতঙ্ক মুক্ত হলেও হাসপাতালে রোগী এবং চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবেশ প্রেমীরা জানিয়েছেন সেটি আসলে দাড়া সাপ।