Jalpaiguri Loksabha Election 2024: তিস্তা পাড়ে দুই ‘রায়ে’র লড়াই, শেষ হাসি কার?
Jalpaiguri Loksabha Election 2024: বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায়ই ফের এই লোকসভার প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় তৃণমূল প্রার্থী। যিনি গত বছর ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেন।
জলপাইগুড়ি: কিছুটা পদ্মবন, কিছুটা ঘাসফুল। খরস্রোতা তিস্তার দু’ধার দিয়ে এমনই রাজনৈতির রঙের বাহার শোভা পায় বিস্তীর্ণ জলপাইগুড়ি জুড়ে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যদিও লাল দুর্গ হিসাবেই পরিচিত ছিল এই জেলাটি। পালা বদলের পর ২০১৪ সালে জলপাইগুড়ি লোকসভা তৃণমূলের দখলে আসে। আবার পাঁচ বছর পর সেই লোকসভায় ফোটে পদ্মফুল। যদিও এই লোকসভার সাতটি বিধানসভা আড়াআড়িভাবে দুই ফুলের মধ্যে বিভক্ত। সদ্য টর্নেডোয় বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি। স্বাভাবিক জীবনে ফেরাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ জেলার বাসিন্দাদের কাছে। তার মধ্যেই আরও একটি লোকসভা নির্বাচন। জমি দখলে মরিয়া সব রাজনৈতিক দলই। কী হবে জলপাইগুড়িতে? চলুন এক বার জল মেপে দেখা যাক।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা। কেন্দ্রগুলি হল মেখলিগঞ্জ, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন অনুযায়ী এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ১৭,৩১,৮৩৪। ২০১১ জনগণনা অনুযায়ী তফসিলি জাতি ভোটার ৪৯.৪ শতাংশ। তফসিলি উপজাতি ভোটার ৭.৬ শতাংশ। সংখ্যালঘু ভোটার ১৪.৮ শতাংশ। গ্রামীণ ভোটার ৬৭.৬ শতাংশ। শহুরে ভোটার ৩২.৪ শতাংশ।
বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায়ই ফের এই লোকসভার প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় তৃণমূল প্রার্থী। যিনি গত বছর ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেন। মাটি আঁকড়ে রয়েছে বাম এবং এসইউসিআই-ও। তাই এই কেন্দ্র যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, নিঃসন্দেহে বলা যায়।
উনিশের লোকসভা এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিধানসভা কেন্দ্র অনুযায়ী কোন দল কত ভোট পেয়েছিল?
নির্বাচন | বিধানসভা কেন্দ্র | বিজেপি | তৃণমূল |
২০১৯ | মেখলিগঞ্জ | ৮৭,১৪০ | ৮২,৪৩৫ |
২০২১ | মেখলিগঞ্জ | ৮৪,৬৫৩ | ৯৯,৩৩৮ |
২০১৯ | ধুপগুড়ি | ১,০৫,৭২৯ | ৮৭,৯৬৩ |
২০২১ | ধুপগুড়ি | ১,০৪,৬৮৮ | ১,০০,৩৩৩ |
২০১৯ | ময়নাগুড়ি | ১,১০,৮১৯ | ৯৬,০৭২ |
২০২১ | ময়নাগুড়ি | ১,১৫,৩০৬ | ১,০৩,৩৯৫ |
২০১৯ | জলপাইগুড়ি | ১,১২,১৪৭ | ৭২,৯৬২ |
২০২১ | জলপাইগুড়ি | ৯৪,৭২৭ | ৯৫,৬৬৮ |
২০১৯ | রাজগঞ্জ | ৯০,৪০৭ | ৯৪,৭২৭ |
২০২১ | রাজগঞ্জ | ৮৮,৮৬৮ | ১,০৪,৬৪১ |
২০১৯ | ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি | ১,৫০,৫৬৬ | ৬৪,৪৪৯ |
২০২১ | ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি | ১,২৯,০৮৮ | ১,০১,৪৯৫ |
২০১৯ | মাল | ১,০০,৯৯৮ | ৭৬,৯৩৯ |
২০২১ | মাল | ৯৩,৬২১ | ৯৯,০৮৬ |
একুশে বিধানসভা কার? মেখলিগঞ্জ- পরেশ চন্দ্র অধিকারি (তৃণমূল) ময়নাগুড়ি- কৌশিক রায় (বিজেপি) জলপাইগুড়ি- প্রদীপ কুমার বর্মা (তৃণমূল) রাজগঞ্জ- খগেশ্বর রায় (তৃণমূল) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি- শিখা চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি) মাল- বুলু চিক বারিক (তৃণমূল) ধুপগুড়ি- বিষ্ণুপদ রায় (বিজেপি) ধূপগুড়ি- নির্মল চন্দ্র রায় (তৃণমূল)
বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে ধুপগুড়িতে উপনির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় বিপুল ভোটে জয়ী হন।
ভোট শতাংশ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পায় ৫১.৩ শতাংশ, তৃণমূল ৩৮.৯ শতাংশ, সিপিএম ৫.১ শতাংশ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পায় ৪৫.১ শতাংশ, তৃণমূল ৪৪.৬ শতাংশ, সিপিএম ৩.৪ শতাংশ, কংগ্রেস ১.৫ শতাংশ।
২০২৪ সালে বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী জয়ন্ত রায়। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়। সিপিএম টিকিট দিয়েছে দেবরাজ বর্মনকে। এসইউসিআই (সি) দাঁড় করিয়েছে রমাপ্রসাদ মণ্ডলকে।