Banarhat: তাপপ্রবাহে ধুঁকছে দক্ষিণবঙ্গ, শিলাবৃষ্টি তখন বাধ সাধছে উত্তরবঙ্গে
Banarhat: গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু মাত্র সাকোঁয়াঝোরা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা। গয়েরকাটা চা-বাগানের শ্রমিক মহল্লা সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৩০০ ওপর পরিবারের বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে।
বানারহাট: দহন জ্বালায় জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলির অবস্থা আরও দুষ্কর। গরমের জেরে যখন নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। সেই সময় একদম উল্টো চিত্র উত্তরের। কালবৈশাখীর ঝড়ের জেরে তাণ্ডব। আর তাতেই লণ্ডভন্ড সব। শিলাবৃষ্টির ব্যাপক দাপটে ক্ষয়ক্ষতি ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা।
বানারহাটের গয়েরকাটা,তেলিপাড়া, আংরাভাসা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা কোনও প্রকার খোঁজখবর নিয়ে দেখেনি বলেই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির। সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আশায় সকলেই।
গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু মাত্র সাকোঁয়াঝোরা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা। গয়েরকাটা চা-বাগানের শ্রমিক মহল্লা সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৩০০ ওপর পরিবারের বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। বিঘার পর বিঘা ফলসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেই। পুরো ঘটনা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকের জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মাঝ রাতে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সেইসঙ্গে চলে শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির শিলার দাপটে জমিতেই নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের ফসল। ঝিঙে,পাট,তিল-সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে যেভাবে মাথার উপর টিনের চাল অ্যাডভেস্টার ফুটে হয়ে গিয়েছে রাতে আতঙ্কে অনেকেই বিছানার নিচে আশ্রয় নিয়েছে বলেই দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। কৃষকেরা অনেকেই চড়া সুদে ঋণ নিয়ে আবার শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাজ ক্ষতিগ্রন্থ চাষীদের।