Netaji Subhas Chandra Bose: দেশের প্রথম নেতাজি-মূর্তি জলপাইগুড়িতেই, রয়েছে ইতিহাস…

Jalpaiguri: ফাউন্ডেশনের সম্পাদক গোবিন্দ রায় বলেন, "এই স্টেশনে নেতাজি এসেছিলেন এবং এখান থেকেই বৃটিশদের ভারত ছাড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাই এই স্টেশনকে হেরিটেজ স্টেশন করা হোক। নেতাজির বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ একটি বড় গ্যালারি তৈরি করুক রেল। দেশের প্রথম নেতাজি মূর্তি আমাদের ফাউন্ডেশনের কক্ষে সুরক্ষিত রয়েছে। আমরা তা রেলের হাতে তুলে দিতে চাই। আমাদের আবেদন জলপাইগুড়ি স্টেশনে মিউজিয়াম স্থাপন করে ওই মূর্তি স্থাপন করুক রেল।"

Netaji Subhas Chandra Bose: দেশের প্রথম নেতাজি-মূর্তি জলপাইগুড়িতেই, রয়েছে ইতিহাস...
নেতাজির এই মূর্তিই দেশের প্রথম মূর্তি বলে জানাচ্ছে নেতাজি ফাউন্ডেশন। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2024 | 9:12 PM

জলপাইগুড়ি: দেশের মধ্যে প্রথম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি তৈরি হয়েছিল জলপাইগুড়িতে। সেই মূর্তি রেলমন্ত্রককে দিতে চায় জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশন। আপাতত যা রাখা আছে ফাউন্ডেশনের কক্ষে। জলপাইগুড়ি নেতাজি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক তথা জলপাইগুড়ির গোবিন্দ রায় জানান, এই মূর্তি যে দেশের প্রথম মূর্তি তার যাবতীয় তথ্য আছে। ১৯৫১ সালে এই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন প্রাক্তন বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল। সতীশচন্দ্র লাহিড়ির উদ্যোগে তা তৈরি হয়।

১৯৩৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়িতে কংগ্রেসের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন হয়েছিল। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বয়ং নেতাজি। ট্রেনে এসে জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামেন তিনি। এরপর জলপাইগুড়িতে সম্মেলনে যোগ দিয়ে ‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো’ ডাক দিয়েছিলেন। সেদিনের বেশ কিছু ছবি ও তথ্য একটি গ্যালারি আকারে জলপাইগুড়ি স্টেশনে রাখা আছে। ৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে রবিবার সকালে একটি অনুষ্ঠান হয়। জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তা উদযাপন করেন।

ফাউন্ডেশনের সম্পাদক গোবিন্দ রায় বলেন, “এই স্টেশনে নেতাজি এসেছিলেন এবং এখান থেকেই বৃটিশদের ভারত ছাড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাই এই স্টেশনকে হেরিটেজ স্টেশন করা হোক। নেতাজির বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ একটি বড় গ্যালারি তৈরি করুক রেল। দেশের প্রথম নেতাজি মূর্তি আমাদের ফাউন্ডেশনের কক্ষে সুরক্ষিত রয়েছে। আমরা তা রেলের হাতে তুলে দিতে চাই। আমাদের আবেদন জলপাইগুড়ি স্টেশনে মিউজিয়াম স্থাপন করে ওই মূর্তি স্থাপন করুক রেল।”

গোবিন্দ রায় জানান, ‘৬৮ সালে বিধ্বংসী বন্যায় করোলা সেতু ভেঙে যায়। পরে জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশন এই মূর্তি সংরক্ষণ করে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সদস্য পার্থ রায় বলেন, এই প্রস্তাব খুবই ভাল। যদি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়, তবে বিষয়টি রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেবেন বলেও জানান তিনি।