North Bengal Rain: তিস্তায় এখনও জারি লাল সতর্কতা, বৃষ্টি কমায় জলস্তর নামছে
North Bengal Rain: শুক্রবার সকালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের গজল ডোবা থেকে ১৫৫৮ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি: তিস্তায় জারি হল লাল সতর্কতা। শুক্রবার সকালেও পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছ প্রশাসন। তবে নতুন করে পাহাড়ে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় তিস্তার জলস্তর ধীরে ধীরে কমছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তার জল বেড়ে যায়। ফলে সেচ দফতর নদীর অসংরক্ষিত এলাকার দোমহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত লাল সতর্কতা এবং সংরক্ষিত এলাকায় জারি ছিল হলুদ সংকেত।
শুক্রবার সকালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের গজল ডোবা থেকে ১৫৫৮ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে। জলস্তর ধীরে ধীরে কমছে। খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে গত ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
১) জলপাইগুড়ি – ৪.৭ মিলিমিটার
২) আলিপুর দুয়ার – ১৪.২ মিলিমিটার
৩) কোচবিহার – ১৩.২ মিলিমিটার
৪) শিলিগুড়ি – ৬.৮ মিলিমিটার
৫) দার্জিলিং – ৩৮.০৪ মিলিমিটার
৬) কালিম্পং – ১৭.৪ মিলিমিটার
৭) বাগরাকোট – ৩৩.৯ মিলিমিটার
৮) সুখিয়া পোখরি – ০০.০০ মিলিমিটার
৯) সেবক – ১৪.২ মিলিমিটার
১০) গ্যাংটক – ১০.৬ মিলিমিটার
১১) চুংথাম – ৭.৬ মিলিমিটার
১২) দামথাং – ৩৩.৮ মিলিমিটার
আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার এই চার জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সুত্রে জানা গেছে।
তবে বৃহস্পতিবারও আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস ছিল উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নামারও আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে এলাকাবাসীদের সাবধান করা হয়েছিল। প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তা কিছুটা হলেও কমেছে।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে কয়েক পসলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। আবারও বৃষ্টি হলে নীচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। কলকাতায় আংশিক মেঘলা থাকবে। দু থকে এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তেমন কোনও সুখবর নেই। বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় ঘর্মাক্ত পরিবেশ জারি থাকবে। অস্বস্তি বজায় থাকবে।