Dhupguri: বেডেই ৪ ঘণ্টা পড়ে রইল মৃত স্বামীর দেহ, স্ত্রী বললেন, ‘সম্পর্ক ভাল নয়, তাই আসিনি’
Dhupguri: হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। কিন্তু, মৃত্যুর পরেও তার দেহ কীভাবে ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে রইল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকাও। শেষে পুলিশ-প্রশাসনের লোকজন গিয়ে একবারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে মৃতের স্ত্রীকে।
ধূপগুড়ি: হাসপাতালের বেডে পড়ে রয়েছে রোগীর দেহ। কিন্তু, দেখা মিলল না পরিবারের। বিপাকে স্বাস্থ্য দফতর। ১৯ ধরে অসুস্থ, ভর্তি হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল রোগী। কিন্তু, মৃত্যুর পর সাড়ে চার ঘণ্টা কেটে গেলেও পুরুষ বিভাগের বেডেই পড়ে রইল দেহ। পাশে তখন চিকিৎসা চলছে অন্যান্য রোগীদের। হাসপাতাল বলছে, বারবার মৃত রোগীর পরিবারের লোকজনকে জানানো হলেও তাঁদের কারও দেখা মেলেনি। শোরগোল ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে।
সূত্র বলছে, ১৯ দিন আগে নিমাই বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করেছিল ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও তখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর পরিবারের। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে তাঁর পরিবার ও ঠিকানার খোঁজ পায় পুলিশ। তিনি যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন সেই খবর জানানো হয় পরিবারের সদস্যদের। এদিকে দিন যত গড়িয়েছে ততই অবস্থার অবনতি হয়েছে নিমাইবাবুর। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিলই। সঙ্গে অন্যান্য আরও একাধিক শারীরিক সমস্য়া বাড়তে থাকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। কিন্তু, মৃত্যুর পরেও তার দেহ কীভাবে ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে রইল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকাও। শেষে পুলিশ-প্রশাসনের লোকজন গিয়ে একবারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে মৃতের স্ত্রীকে। মৃতের স্ত্রী অর্চনা বিশ্বাসের দাবি স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। বিবাদও হতো প্রায়ই। যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হওয়ার পথেই ছিল। সে কারণেই অসুস্থতার খবর পেয়েও তাঁরা আসেননি। কিন্তু এই সঙ্কটের কথা জেনেও একবারের জন্যও এলেন না হাসপাতালে? এলেন না বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও? প্রশ্ন ঘুরলেও, উত্তর নেই।