Sealdah Kanchanjunga Express Accident Ground Zero: ‘আচমকা প্রবল ঝাঁকুনি, পরপর তিন বার, বেরিয়ে দেখি সব শেষ’, বলছেন মৃত্যুচাক্ষুস করা কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী সুকান্ত মজুমদার
Sealdah Kanchanjunga Express Accident Ground Zero: তিনি বলেন, "সবেমাত্র নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে ট্রেন। হঠাৎ একটা ভীষণ ঝাঁকুনি। আমরা চারটে বগি পুরো শেষ হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ শেষ হয়ে যেতে পারেন। কত জন মারা গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। টিকিট কনফর্ম ছিল না, আমি বলে একটা বগিতে ছিলাম। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছে পরপর। অনেককে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।"
নিউ জলপাইগুড়ি: সকাল ন’টার আশপাশ। সকালে ট্রেনে তখন ব্রেক ফাস্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়েছিল ট্রেনটা। ট্রেনের গতি তখন খুব একটা বেশি ছিল না। প্রত্যন্ত গ্রামের বুক চিরে যাওয়ার রেললাইন ধরে এগোচ্ছিল শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। আচমকাই একটা বিশাল কাঁপুনি। পরপর তিন বার সজোরে ব্রেক কষেছিলেন চালক। তাতে পরপর তিনবার বিশাল জোরে কেঁপে ওঠে ট্রেন। আর বিকট শব্দ করে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন! বাইরে বেরিয়ে কী দেখেছিলেন, ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা TV9 বাংলার শেয়ার করলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, “সবেমাত্র নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে ট্রেন। হঠাৎ একটা ভীষণ ঝাঁকুনি। আমরা চারটে বগি পুরো শেষ হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ শেষ হয়ে যেতে পারেন। কত জন মারা গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। টিকিট কনফর্ম ছিল না, আমি বলে একটা বগিতে ছিলাম। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকছে পরপর। অনেককে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।”
এই ট্রেনেই ছিলেন শ্রুতিরাজ রায়। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়িতে। তিনি মালদহ যাচ্ছিলেন কাজে। তিনি বলেন, ” আমরা এস ৩ বগিতে ছিলাম। আমরা মালদহ যাচ্ছিলাম কাজ করার জন্য। হঠাৎ গাড়িটা তিন বার সজোরে ব্রেক কষল। ভীষণ জোরে কেঁপে উঠল ট্রেন। তারপর প্রচণ্ড আওয়াজ করে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। যখন বেরিয়ে দেখি মালগাড়িটা পুরো শেষ। পার্সেল ভ্যানটা একটার পর একটা উড়ে গিয়েছে। আরটা জেনারেলন বগি দুটো ট্রেনের মাঝে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে।”
আপাতত পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে রেলের তরফ থেকে মৃতের সংখ্যা ২ জানানো হয়েছে। যে বগিটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে, সেটি অসংরক্ষিত ছিল। সেই বগি থেকে উদ্ধারকার্য করা সমস্যা হচ্ছে বলে উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন।