Sikkim: সিকিমেই সেনায় কাজ করেন ময়নাগুড়ির রঞ্জিত, গতকাল থেকে কোনও খোঁজ নেই
Jalpaiguri: পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে সেনাবাহিনীর পোর্টার (মালবাহক) পদে সিকিমে কাজে যোগ দেন জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি-২ গ্রামপঞ্চায়েতের চাতরার পার গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত রায়। সিকিমেই থাকেন। বুধবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে সিকিমে যে বিপর্যয় এসেছে, তাতে বুক ভাঙছে পরিবারের। বাড়ির ছেলে কোথায় কেমন আছেন চিন্তা-উদ্বেগ বাড়ির লোকজনের চোখে মুখে।
জলপাইগুড়ি: সেনাবাহিনীর পোর্টার বিভাগে কাজ করেন ময়নাগুড়ির রঞ্জিত রায়। তিস্তার হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁকেও। খোঁজ নেই রঞ্জিতের। উদ্বেগে পরিবার। বাড়ির লোকেরা জানান, মঙ্গলবার শেষ কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। কালীপুজোয় বাড়ি আসবেন বলেছেন। এরইমধ্যে বুধবারের বিপর্যয়। এই খবর সামনে আসার পর থেকে বারবার বাড়ির লোকেরা ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। উদ্বেগ কাটছে না ময়নাগুড়ির দোমহনি এলাকার রঞ্জিত রায়ের পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে সেনাবাহিনীর পোর্টার (মালবাহক) পদে সিকিমে কাজে যোগ দেন জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি-২ গ্রামপঞ্চায়েতের চাতরার পার গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত রায়। সিকিমেই থাকেন। বুধবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে সিকিমে যে বিপর্যয় এসেছে, তাতে বুক ভাঙছে পরিবারের। বাড়ির ছেলে কোথায় কেমন আছেন চিন্তা-উদ্বেগ বাড়ির লোকজনের চোখে মুখে।
রঞ্জিতের নিখোঁজ সংক্রান্ত খবর বুধবার রাতেই জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন মারফত এসে পৌঁছেছে বাড়িতে। খবর আসতেই বাড়িতে কান্নাকাটি শুরু। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থমথমে গোটা গ্রাম। টেলিভিশনের পর্দায় চোখ সারাদিন। প্রকৃতির এমন রোষ, কোথায় কী বিপদের বার্তা দেবে, প্রমাদ গুনছে গোটা রাজ্যই।
রঞ্জিত রায়ের বাবা হর্ষাদু রায় জানান, ছোট ছেলে কয়েক মাস আগেই সিকিমে সেনাবাহিনীর কাজে যোগ দেন। পোর্টার পদে কাজে যোগ দেন তিনি। বুধবারের দুর্যোগের খবরের পর থেকেই চিন্তায় তাঁরা।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানান, সিকিমের বন্যায় জলপাইগুড়ি জেলায় দু’জন নিখোঁজ হয়েছেন। একজন ক্রান্তি ব্লকের বাসিন্দা, আরেকজন ময়নাগুড়ি ব্লকের। দু’জনই সিকিমে সেনাবাহিনীর পোর্টার পদে কর্মরত।