Dhupguri: সিকিমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ বানারহাটের দুই শ্রমিক, উৎকন্ঠায় রাত জাগা পরিবার
Dhupguri: জানা গিয়েছে, সিকিমের কারপানিতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলন পঞ্চন, অজিতরা। তিস্তা নদীর ধারে ক্যাম্প করে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পে তখন তাঁরা ঘুমিয়ে। আচমকাই শুরু হয় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। ভাঙে বাঁধ। বাঁধ ভাসিয়ে নিয়ে যায় এলাকার পর এলাকায়।
ধূপগুড়ি: হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিকিম। চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে পড়শি রাজ্য। সেখানে বাংলা থেকে শুধু পর্যটকরাই নন, গিয়েছিলেন বহু পরিযায়ী শ্রমিকও। বুধবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ডুয়ার্সের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল বানারহাটে কাঁঠালগুড়ি চা বাগানের দুই শ্রমিক। নাম পঞ্চন ওরাওঁ (৩৫) ও অজিত মুণ্ডা (৩০)। চা বস্তির বাসিন্দা তাঁরা। শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন সিকিমে। সেখানেই তিস্তায় ভেসে যান দু’জন।
জানা গিয়েছে, সিকিমের কারপানিতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলন পঞ্চন, অজিতরা। তিস্তা নদীর ধারে ক্যাম্প করে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পে তখন তাঁরা ঘুমিয়ে। আচমকাই শুরু হয় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। ভাঙে বাঁধ। বাঁধ ভাসিয়ে নিয়ে যায় এলাকার পর এলাকায়। তাতেই ভেসে যান ওই ক্যাম্পে থাকা শ্রমিকরাও। এখনও অবধি একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও খোঁজ নেই কাঁঠালগুলি চা বাগানের দুই যুবকের। রাতভর জেগে বাড়ির লোকেরা। তাঁদের সঙ্গে কার্যত গোটা গ্রামই জেগে। উদ্বেগ কাটছে না। ওই বুঝি খবর এলো কিছু।
পঞ্চনের বোন সরস্বতী বলেন, “বুধবার বিকাল ৫টায় ফোন আসে আমাদের কাছে। বলল ওখানে বান এসেছে। আপনাদের পরিবারের যিনি গিয়েছেন, উনি নিখোঁজ। আমাদের গ্রাম থেকে দু’জন গিয়েছিল। দু’জনেরই খোঁজ নেই। খুব চিন্তায় আছি। প্রশাসনের লোকজন এসেছিল। ওরা বলেছে, সমস্ত ব্যবস্থা করবে। চিন্তার কিছু নেই। এখনও অবধি তো কোনও খবর এলো না।” পরিবারের লোকেরা জানান, তিন মাস হল সিকিমে কাজে গিয়েছেন ওই যুবকরা। এখানেই কাজ করতেই। তবে এখানে বর্ষায় কাজ কমতেই সিকিমে যান শ্রমিকের কাজ করতে।