অবৈধ বালি ও পাথর পাচার রোধ করতে গঠিত হল টাস্ক ফোর্স

যেদিন এই টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানা গেল, সেই রবিবারও ডুয়ার্সের নাগরাকাটা, জলঢাকা নদী এবং বানারহাটের ডায়না নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তোলার দৃশ্য চোখে পড়েছে।

অবৈধ বালি ও পাথর পাচার রোধ করতে গঠিত হল টাস্ক ফোর্স
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2021 | 10:10 PM

ডুয়ার্স: অবৈধ বালি ও পাথর পাচার নিয়ে এবারে কড়া ভূমিকায় রাজ্য বন দফতর (Forest Department)। গঠন করা হলো উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স। ২৮ তারিখের মধ্যে তার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যের মুখ্য বনপাল।

ডুয়ার্সের জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে এবং জঙ্গলের গা ঘেঁষে যাওয়া নদী তীর থেকে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালি ও পাথর তুলে যথেচ্ছ পাচার করা হচ্ছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জঙ্গল, নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। যার ফলে ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে রাজ্যের বন মন্ত্রী নিজেও। তাই এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে এর অবিলম্বে রিপোর্ট তলব করেছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তাই এবার গঠন করা হল টাস্ক ফোর্স।

এই প্রথম জঙ্গল লাগোয়া নদী থেকে অবৈধ বালি পাচার রুখতে ডুয়ার্সে টাস্ক ফোর্স গঠন করল বন দফতর। সূত্রের খবর পাঁচ আধিকারিককে নিয়ে গঠন করা হয়েছে এই টাস্ক ফোর্স। এখানে রয়েছেন ভিকে সুদ (অ্যাডিশনাল পিসিসিএফ, নর্থবেঙ্গল )। তিনি এই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান। এছাড়া রয়েছেন ডাঃ সুধীর চন্দ্র দাস (সিসিএফ, সয়েল কনজারভেশন), রাজেন্দ্র জাখর (সিসিএফ, ওয়াইল্ডলাইফ নর্থ), সমীর গাজমির (সিসিএফ নর্থ সার্কেল), জিজু জাশপের (ডি এফ ও ওয়ার্কিং প্ল্যান নর্থ)।

রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ডুয়ার্সে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন নদী থেকে বালি পাথর পাচার বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে খবর। তিনি তদন্ত করে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছে বনাধিকারিককে।

এরপরই রাজ্যের মুখ্য বনপাল তথা হেড ওফ ফরেস্ট রবিকান্ত সিনহা গত ১১ তারিখ একটি নির্দেশিকা জারি করেন। যেখানে ডুয়ার্সের বেশ কয়েকটি নদীর কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তার পরেই গঠিত হল এই টাস্ক ফোর্স। চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে তারা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বর্ষায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয় জঙ্গল লাগায়ো এলাকাগুলিতে। বিশেষ করে গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি, রেতি, ডায়না, জলঢাকা, কালাপানি, মরাঘাট- এই সমস্ত জঙ্গলে ভূমিক্ষয় হচ্ছে। বারংবার প্রশাসনিক নির্দেশিকা সত্বেও সম্পূর্ণরূপে বালি ও পাথর পাচার বন্ধ করা যায়নি।

আরও পড়ুন: বাতিল মাধ্যমিক পরীক্ষা, অবসাদে আত্মঘাতী হলেন আরও এক ছাত্রী!

এমনকি যেদিন এই টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানা গেল, সেই রবিবারও ডুয়ার্সের নাগরাকাটা, জলঢাকা নদী এবং বানারহাটের ডায়না নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তোলার দৃশ্য চোখে পড়েছে।