HC On R G Kar Case: ‘পেটের বিশেষ অংশ আর রিং ফিঙ্গারে যে আঘাত…’, তিলোত্তমার শরীরের ক্ষতস্থান উল্লেখ করে বিচারপতির বড় ইঙ্গিত
HC On R G Kar Case: বিচারপতি তখন সিবিআই-এর কাছে জানতে চায়, কলকাতা পুলিশের কাছে যে কেস ডায়েরি ছিল, সেটা কি তাদের কাছে আছে ? যদি এটা ধর্ষণই হয়, তাহলে তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে? কেন তদন্ত আটকে রয়েছে? সিবিআই-এর ঠিক কোন ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে? সিবিআই-র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

সৌরভ দত্ত ও শ্রাবন্তী সাহা: তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের পর ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট অর্থাৎ সুরতহাল রিপোর্টে যে আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখিত আঘাতের কিছুটা ফারাক রয়েছে। দ্বিতীয় শুনানিতে সিবিআই-এর দেওয়ার রিপোর্ট দেখে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
হাইকোর্টের দ্বিতীয় শুনানির দিন সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানান, এটা ধর্ষণকাণ্ডই। আপাতত এই ঘটনায় একজনেরই নাম উঠে আসছে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানান, সব ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিকে পাঠানো হয়। ১৪ জন চিকিৎসকদের নিয়ে টিম তৈরি হয়। তারা একজনই এই কাজে যুক্ত জানিয়েছে। তাছাড়াও সব নার্স-চিকিৎসক, যাঁরা ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও এদিন বিচারপতিকে জানায় সিবিআই।
বিচারপতি তখন সিবিআই-এর কাছে জানতে চায়, কলকাতা পুলিশের কাছে যে কেস ডায়েরি ছিল, সেটা কি তাদের কাছে আছে ? যদি এটা ধর্ষণই হয়, তাহলে তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে? কেন তদন্ত আটকে রয়েছে? সিবিআই-এর ঠিক কোন ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে? সিবিআই-র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
সিবিআই-এর তরফে আদালতে তখন স্পষ্ট করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট নজরদারি করছে। সেক্ষেত্রে পরের তদন্ত কীভাবে? এই আদালত আলাদা করে মনিটর করবে কিনা। সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, ” আমরা এখন দেখছি, বৃহৎ ষড়যন্ত্র আছে কি না এবং প্রমাণ নষ্ট হয়েছে কি না।” সেক্ষেত্রে সকলের ফোন কল ডিটেইলস নেওয়া হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। তখন বিচারপতি জানতে চান, “ষড়যন্ত্র মানে কী?” সিবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়, ‘পোস্ট অফেন্স কনডাক্ট’। তখন বিচারপতি জানতে চান, যদি একজনই এই ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে বৃহৎ ষড়যন্ত্র কেন? সিবিআই জানান, আসলে বিভিন্ন অফিসার-সহ আরও অনেকে এক্ষেত্রে কী ভূমিকা রয়েছে, তাই দেখা হচ্ছে। বিচারপতি তখন জানতে চান, এক্ষেত্রে কাদের কাদের তালিকায় রাখা হচ্ছে। সে সময় সিবিআই-এর আইনজীবী ইতঃস্তত বোধ করেন। বন্ধ খামেই সেটা পেশ করবেন বলে জানান তিনি। কাদেরকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে, সেই রেজিস্ট্রারও তলব করেন বিচারপতি।
এরপরই তদন্তের ফাঁকফোকর প্রসঙ্গে বিচারপতি সিবিআই-এর আইনজীবীকে স্মরণ করিয়ে দেন, ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে যে আঘাতের কথা উল্লেখ রয়েছে, অর্থাৎ পেটের আঘাত ও রিং ফিঙ্গারের আঘাত, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নেই। সেই সূত্রে বিচারপতি ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরিও চেয়ে পাঠান।
কিন্তু এসবের মধ্যে আবারও রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শুনানিতে তুলে ধরা ইস্যুর পুনরুত্থাপন করেন। কল্যাণ বলেন, “ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। ফলে পরবর্তী তদন্ত হতে পারে না। ম্যাজিস্ট্রেট ট্রায়াল চলাকালীন এক মাত্র পরবর্তী তদন্তের কথা বলতে পারেন। শেষ হয়ে গেলে নয়। সিবিআই যদি তদন্ত শেষ না করতে পারে সেটা তাদের ব্যর্থতা।”
কল্যাণ বিচারপতির কাছে জানতে চান, “সিবিআই এর টাইম লাইন দিতে কোথায় বাধা?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ এপ্রিল।





